1. admin@naragatirsangbad.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
লোহাগড়ায় কাঠ বোঝাই অবৈধ লাটা উল্টে পড়ে ১ যুবকের মৃত্যু হয়েছে। লোহাগড়ায় নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হরিণাকুন্ডু পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯৫ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত।  খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে ঢাকাস্থ ইরানি রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশির দলিত জনগোষ্ঠীর ঝরেপড়া ১৪০ শিক্ষার্থী পেল শিক্ষা উপকরণ  লোহাগড়ায় সর্বদলীয় নেতা মেম্বার ধলু, যে দল ক্ষমতায় যায় সেই দলই তার  লোহাগড়ায় পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে ইয়াবাসহ পুরুষ ও নারী ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।  গোপালগঞ্জে জেলা বিএনপির নতুন আরো একটি কার্যালয়ে উদ্ভোধন রামপালে স্বপযাত্রার শিশুদের উদ্ভাবনী উৎসব মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের বার্ষিক কমিটি গঠন সভাপতি শহিদুল, সম্পাদক শামীম।

রংপুর বিভাগ কুড়িগ্রামে ঘর-বাড়ি, পশু পাখি ফসলি জমি রক্ষায় সেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা সাধারণ গ্রামবাসীর

নড়াগাতীর সংবাদ ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৬৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

 

মোঃ রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী লালমনিরহাট

সর্বনাশা দুধকুমার নদের ভাঙন রোধে নেই কোনও সরকারি উদ্যোগ, সরকারী কোনও উদ্যোগ না থাকায় নিজ উদ্যোগেই প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন গ্রামবাসী। তাদের অভিযোগ শতো বার সরকারি দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোন সারা পাননি তারা। এ অবস্থায় নিজেদের চাঁদার টাকায় প্লাস্টিকের বস্তুা কিনে বালু ভরিয়ে সেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমারের শাখা কালজানি নদী পাড়ের বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ প্লাস্টিকের বস্তুায় ভরছেন বালু, কেউ ফেলছেন নদীর পাড়ে। এভাবে ঘর বাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষার চেষ্টা ভাঙন কবলিতদের। গত ৪ মাস ধরে দুধকুমার নদের অব্যাহত ভাঙন চলছে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্তবর্তী শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে। এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে তিন শতাধিক ঘর বাড়িসহ একরের পর একর ফসলি জমি। এ অবস্থায় ভাঙনে কবলিতরা জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডে বার বার যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি তারা। পরে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে নিজেদের অর্থ দিয়ে সেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধ করে সম্পদ রক্ষায় চেষ্টা তাদের।

স্থানীয়দের দাবি তাদের এ চেষ্টার পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামান্য সহযোগিতা পেলে বন্ধ হবে ভাঙন। আর এতেই রক্ষা পাবে ফসিল জমিসহ ঘর বাড়ি। উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা এলাকার মনছেদ আলী বলেন, আমাদের এরাকার ভাঙন রোধে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে আমরা কাজ করছি। গ্রামবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে প্লাস্টিকের বস্তুা কিনে বালু ভরে নদীতে ফেলছি। তার পরেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না।

ভুরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম ফরিদুল হক বলেন, এই এলাকার দুধকুমার নদ গত ২-৩ মাস ধরে অব্যাহত ভাঙছে। প্রায় ৩শ উপর বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। কয়েকশো হেক্টর ফসলি জমি ফসলসহ নদে চলে গেছে। ভাঙন রোধ করা না হলে তিনটা ক্যাম্প আছে এখানে বিদ্যুৎ আছে সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখানকার খেটে খাওয়া সীমান্তবাসীর জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান শিলখুড়ি এলাকায় দুধকুমারের ভাঙনসহ অন্যান্য নদ নদীতেও ভাঙনের কথা স্বীকার করে জানান, বরাদ্দ কিংবা অনুমতি না থাকায় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না তারা। সার্বিকভাবে কৃষি জমি ও সামান্য বাড়ি ঘরের জন্য কাজ করার অনুমতি পাচ্ছেন না। সরকারি কোন স্থাপনা হলে কিছুটা কাজের অনুমতি পাবেন বলে জানান তিনি।

জেলায় গত চার মাসে দুধকুমারসহ ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তার ভাঙনে বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়েছে সহস্রাধিক পরিবার। ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের। আল্লাহ তাদের সহাইহন।

মোঃ রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী।

Facebook Comments Box

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ নড়াগাতীর সংবাদ।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park