শাহাদাত কামাল শাকিল কুমিল্লা
বন্যা কবলিত কুমিল্লা, ফেনী, বুড়িচং,নোয়াখালী ও লক্ষীপুরসহ অন্যান্য জেলায় বন্যা পরবর্তী স্বাস্থ্য সমস্যা প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। কুমিল্লা জেলার স্বনামধন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ‘গোমতী হাসপাতাল’ এবং কক্সবাজার জেলার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিল্ডেন অব বাংলাদেশের অধীনে পরিচালিত ‘হোপ হসপিটাল’ যৌথভাবে এই ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা ও ফ্রি ঔষধপত্র বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন এলাকায় আয়োজিত প্রতিটি স্বাস্থ্য ক্যাম্পে প্রায় ৪০০ জন গর্ভবতী মহিলা, অসুস্থ মহিলা, পুরুষ ও শিশু তাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যার ফ্রী চিকিৎসা পরামর্শ পাশাপাশি ফ্রী ঔষধ গ্রহণ করছেন।(১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সোমবার দুপুরে বুড়িচং সদর ইউনিয়নে যদুপুর গ্রামে ৫০ জন বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য ও বস্ত্র প্রদান করলেন হোপ ফাউন্ডেশন।
এছাড়াও উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় উক্ত সহয়তা অব্যাহত রয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মিশুক,হোপ ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার মো: রুহুল আমিন, কুমিল্লা জেলা কো- অডিনেটর মো: রিপন,পরিবার ও পরিকল্পনা সহকারি মো: দেলোয়ার হোসেন,যদুপুর আয়েশা একাডেমির প্রিন্সিপাল মো: আব্দুর রব। হোপ হসপিটালের সিনিয়র ম্যানেজার ও বন্যার্তদের সহায়তা কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন একেএম জহিরুল ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা খুবই খুশি যে, কক্সবাজার থেকে এসে আমার নিজের এলাকা কুমিল্লাযর বন্যার্ত মানুষের মাঝে কিছু দিন রান্না খাবার পরবর্তীতে চাল, ডাল, তেলসহ অন্যান্য শুকনো খাদ্য, বস্ত্র এবং চিকিৎসা সেবা সহায়তা দিতে পারছি পাশাপাশি বন্যায় ভেঙে যাওয়া কিছু সংখ্যক বাড়িঘর নির্মাণের সহায়তা করতে পারছি। আমরা মনে করি নিঃসন্দেহে এটা একটি মহৎ কাজ আর এজন্য আমি আমাদের দাতা সংস্থা ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই ধরনের মানবতার কাজ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি মনে করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, হোপ হসপিটাল ১৯৯৯ সালে কক্সবাজারের কৃতি সন্তান ডাক্তার ইফতিখার উদ্দিন মাহমুদ প্রতিষ্ঠা করেন আর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই হাসপাতালটি অসহায় গর্ভবতী মহিলা, অসুস্থ মহিলা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি কক্সবাজারের গন্ডি পেরিয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগ ও বরিশাল বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।