নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ায় দেশের উন্নয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নৌকা মার্কায় ভোট দিতে রংপুরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলেই আমরা সেবা দিচ্ছি। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছেন। নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই সড়ক উন্নত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুরের তারাগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিনা পয়সায় বই পাচ্ছেন। আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল মুজিব বর্ষে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। যাদের ভূমি-গৃহ নেই তাদের বিনা পয়সায় ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। ৩৩টি জেলা ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হয়েছে। তারাগঞ্জে এখনও কোনো গৃহহীন আছে কি না জানি না। থাকলে আপনাদের এমপি প্রার্থীকে জানাবেন। আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আরেকবার সেবা করার সুযোগ দেবেন, সেই আহ্বান জানাই।’ আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট প্রত্যাশা করে ওয়াদা চাইলে উপস্থিত জনতা দুই হাত তুলে সমস্বরে সাড়া দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকায় ভোট দেওয়ার জনগণের জন্য কাজ করতে পারছে সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করেছে। আরেকবার সুযোগ দিয়েন যেন আপনাদের জীবনমানের আরও উন্নয়ন করতে পারি।
নৌকায় ভোট দেওয়ায় মানুষের জীবনমান পরিবর্তন হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কোনো মানুষ যেন অবহেলিত না থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের মানুষ অবহেলিত ছিল। তাদের মাথাপিছু আয় বাড়েনি। জীবনমান উন্নয়ন হয়নি। অবহেলার শিকার হয়েছে। বঙ্গবন্ধকে হত্যার পর ঝুঁকি নিয়ে দেশে এসেছি আপনাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য। আমার চাওয়া পাওয়া কিছু নেই। আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সকালে ভোটারদের নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন কোনো মানুষ অবহেলিত থাকবে না। বীর মুক্তিযোদ্ধা, হিজড়া সম্প্রদায়, গৃহহীন-ভূমিহীন সব অসহায়ের খোঁজ নিয়ে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে কোনো মানুষ ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না।
এ আসনে (রংপুর-২ বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে ভোট করছেন আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ সরকার বিটু।