শেখ মাহাবুব আলম বিভাগীয় প্রধান খুলনা
খুলনা তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ মৈত্রী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন অত্র উপজেলার ইছামতী গ্রামের শিক্ষক রবিউল ইসলাম গত ২২ জুলাই সকাল ৮টার দিকে তার চাচা আব্দুল মান্নান মীর (৬৮) নিজ বাড়ির উঠানে পড়ে গিয়ে হাটুতে ব্যাথা পান। সকাল অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে তার চাচাকে চিকিৎসার জন্য তেরখাদা উপেজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন এবং সেখানে ভর্তি করেন ।
আব্দুল মান্নান মীর কে ভর্তি করার পর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কর্তব্যরত ডাক্তার মৈত্রী বিশ্বাস তার চাচাকে চিকিৎসা সেবা দিতে আসেননি। তার চাচার অবস্থা খারাপ দেখে বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষক রবিউল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তানিয়া রহমানকে মোবাইল ফোনে জানান তার চাচা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে, বিকেল ৪টা বাজে এখনও পর্যন্ত কোনো ডাক্তার দেখতে আসেননি। পরে সে নিজে ফোন করেন তেরখাদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম মফিজুল ইসলাম জুম্মানকে। সময়ের ব্যবধানে দু’জনই বললেন ডাক্তার রোগীর কাছে যাচ্ছে।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, আরও প্রায় দেড় ঘন্টা অর্থাৎ পোনে ৬টার দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার মৈত্রী বিশ্বাস সেবিকাদের কক্ষে এসেই চেচামেচি শুরু করেন। রোগী দেখার জন্য তাকে ফোন করা হলো কেনো ? শুধু তাই নয়, তিনি উক্ত রোগীর বেডে গিয়ে বলেন সাংবাদিক দিয়ে ফোন করালেন কোনো ? আমি কি সাংবাদিকের চাকরি করি ? সাংবাদিকের জন্ম আগে, না ডাক্তারের জন্ম আগে। আরও কথা বলে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। পরে তিনি উত্তেজিত হয়ে নামকা ওয়াস্তে তারর চাচাকে দেখেন এবং ঔষধ প্রয়োগ করেন।
তিনি সন্ধার আগে কি ঔষধ প্রয়োগ করেছেন তা জানেন না। ঔষধ প্রয়োগের পর থেকে আব্দুল মান্নান মীরের অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে। রাতে ডাঃ মৈত্রী বিশ্বাস ও তার সঙে অন্যদের নিয়ে রোগীদের পাশে থাকা পরিবারের সদস্যদের নিকট থেকে বিভিন্ন কৌশলে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা চালান। গভীর রাতে ডাঃ রবিউল কে বলেন রোগীর অবস্থা খারাপ। এখান থেকে নিয়ে যান । আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন বলি এত রাতে কোথায় নিবো? এত অসুস্থ রোগীকে কিভাবে নিবো । কর্তব্যরত ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় এবং তার চরম অনীহা ও খামখেয়ালীপনায় ভোর রাতে আমার চাচা মারা যান।
২২জুলাই বিকেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ডাক্তার মৈত্রী বিশ্বাস কে কেনো উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং তেরখাদা প্রেসক্লাবের সভাপতিকে ফোন দিয়ে রোগীর কাছে আসতে বলা হলো এটাই ছিলো ডাঃ মৈত্রী বিশ্বাসের ক্ষোভ। এই ক্ষোভের কারণেই তিনি আমাদের সকলের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন এবং রোগীকে ভুল চিকিৎসা দিয়েছেন। আমি উক্ত মৈত্রী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি এবং সরকারি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অনীহা এবং ভুল চিকিৎসা দানকারী ডাঃ মৈত্রী বিশ্বাসকে অন্যত্র বদলির আবেদন করছি। ডাঃ মৈত্রী বিশ্বাস এর আগেও একাধিক রোগীর সাথে এভাবেই অসদাচরণ করে চলেছেন। যার প্রমাণও আছে। ডাঃ মৈত্রী বিশ্বাসের অগ্নিমূর্তি ধারণ করে অসদাচরণের একাধিক সাক্ষী আছে। শিক্ষক রবিউল বলেন আমার উপরিল্লিখিত অভিযোগটি তদন্তপূর্বক ডাঃ মৈত্রী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে এবং তাকে অন্যত্র বদলী করে রাধিত করিবেন।