মো: আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার।
নড়াইলের লোহাগড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেসামরিক কর্মচারী ঢাকার সাভারে কর্মরত রয়েছেন লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের পাচুড়িয়া গ্রামের অহিদ মিস্ত্রি ও ৭/৮/৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার শেফালী বেগমের ছেলে প্রিয়। কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রী ও ১৪/ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ১৭ লক্ষ টাকা ভেগে যাই বলে জানা গেছে। ওই প্রবাসীর স্ত্রীর ২ বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।
এ ঘটনাই মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ফাইজার মোল্লার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান সাড়ে ৮ বছর আগে মল্লিকপুর গ্রামের আজম সরদারের মেয়ে লাইজুর সাথে আমার শালার বিবাহ হয়, সে কুয়েত প্রবাসী তার বাড়ি নড়াইলে আর লাইজুর ঘরে আমার শালার দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। অহিদ মিস্ত্রির ছেলের প্রিয়র সাথে আমার শালা বউয়ের স্কুল লাইভ থেকে পরিচিত ছিলো আর যেহেতু বাড়ি পাশাপাশি গ্রামে , প্রিয় আমার শালা বউয়ের ১৪ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১৭ লক্ষ টাকা সহ ভাগিয়ে নিয়ে যাই। তার সাথে হয়তো প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি প্রিয়র মা শেফালী বেগম ও বাবা অহিদ মিস্ত্রির সাথে কথা বলেছি তারা বলেন তোমার শালা বউ আমার ছেলের বাসায় যেয়ে উঠেছে ৩ দিন আগে।
ফাইজার মোল্লা আরো বলেন আমি শালা বউয়ের সাথে ফোনে কথা বলেছি সে বাড়িতে চলে আসতেছে আশা পরে প্রিয় তার সাথে কি ঘটিয়েছে সেটা জানা যাবে এরপর আমরা আইনি পদক্ষেপে যাবো। এর আগে পাচুড়িয়া গ্রামের জিয়া ভেন্ডারের ছেলে বাকের, পিয়াস,ওরফে বাকি বিল্লা সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে মাউলী গ্রামের ১ দশম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। আর ওই ধর্ষণে সহযোগিতা করেন এই প্রিয়। এঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে পক্ষে-বিপক্ষে লেখা লেখি ও আলোচনা-সমালোচনা। ওই ঘটনায় লক্ষীপাশা,পাচুড়িয়া ও মাউলী এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনায় পাচুড়িয়া গ্রামে গিয়ে প্রিয়র বাবা অহিদ মিস্ত্রির সাথে তার ছেলের বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং সাংবাদিকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। কেমন যেন তার ছেলে ভাজা মাছ উল্টিয়ে খেতে জানে না।
ওই বিষয়ে প্রিয়র মা মহিলা মেম্বার শেফালী বেগম বলেন আমার ছেলে জানে যে ওই মেয়ের সাথে বাকেরের সাথে সম্পর্ক ছিল। এর বেশি সে কিছু জানে না। এবিষয়ে পাচুড়িয়া ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল হাই খানের সাথে মোঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমরা শুনেছি প্রিয় আজমের মেয়ে নিয়ে ভেগে গেছে, ১ মাস আগে নাকি ওই মেয়েকে দিয়ে তার প্রবাসী স্বামীকে তালাক ও করিয়েছে প্রিয়।
এ ঘটনায় এলাকায় পুলিশ ও সাংবাদিকরা এসেছিলো, সেনা সদস্য পিয়াস ওরফে বাকের এবং প্রিয়র বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি হলে একটি অসৎ চক্রের মহল বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য এবং কমেন্ট লেখালেখি করেন। যেন প্রিয় আর বাকের তাদের এলাকার পীর। এঘটনায় প্রিয়র সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি প্রথমে ফোনটি রিসিভ করে এবং তার কাছে এই ঘটনায় জানতে চাইলে ফোনটি তিনি কেটে দেন পরবর্তীতে একাধিক বার ফোন দেয়া পরে ফোন রিসিভ করলে সেনা সদস্য পিয়াস ওরফে বাকী বিল্লাহর ধর্ষণের বিষয় ও তার নিজের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এসব জানেন না বলে জানান।