কাজী মোস্তফা রুমি, বিশেষ প্রতিনিধি: বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ৭ জুন এক অবিস্মরণীয় দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়। তাই আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে স্বাধীন বাংলার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দক্ষিণ টাঙ্গাইলের আওয়ামী রাজনীতির অন্যতম কিংবদন্তি, ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে রাজপথ কাঁপানো নাগরপুর দেলদুয়ারের গণমানুষের জনপ্রিয় নেতা, নাগরপুরের সাড়ে তিন লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবি ধলেশ্বরী সেতু বাস্তবায়ন আন্দোলনের একমাত্র সফল রূপকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সংগ্রামী সহ-সভাপতি জননেতা তারেক শামস খান হিমু।
ঐতিহাসিক ৬দফা দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে জননেতা তারেক শামস খান হিমু বলেন- বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস আন্দোলন আর ত্যাগের ইতিহাস। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন বাঙালির মুক্তি আন্দোলন-সংগ্রামকে ক্রমান্বয়ে তীব্র থেকে তীব্রতর করে দেয়। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও বৈষম্যনীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। এই ৬ দফার মধ্যেই তিনি পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন। মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার অপরিহার্যতা বিধৃত ছিল এ দাবিসমূহের মধ্যে। ৬ দফা বাঙালির স্বাধীনতার সনদ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবির্ভূত হলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদের মহান নেতা হিসেবে।
৬ দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ নয়, সারা বিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস। তাই ঐতিহাসিক এ দিনে আমি নাগরপুর দেলদুয়ারবাসী এবং টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।