মো:আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার।
নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া হাফেজ আব্দুল করিম একাডেমির সপ্তম শ্রেণির জনৈক ছাত্রী গত ৪ জুন/২০২৪ সকাল অনুমান ১০. ঘটিকার সময় প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে স্কুলে যায়।
সেখান থেকে সে তার বান্ধবী এবং তিন ছেলে বন্ধু ১। মোঃ শাহানুর ইসলাম আলিফ (১৫), পিতা-মোঃ শাহিদুল ইসলাম; ২। মাহিন মোল্যা (১৫), পিতা-মোঃ বাবু মোল্যা, উভয় সাং-লাহুড়িয়া রাজাপুর; ৩। সাজ্জাদ মোল্যা (১৬), পিতা-মশিয়ার মোল্যা, সাং-শামুকখোলা, এ/পি-লাহুড়িয়া রাজাপুর, সর্ব থানা-লোহাগড়া, জেলা-নড়াইল’দের সাথে অনুমান ১১.টা ২০ ঘটিকায় চর বালিদিয়া গ্রামের দর্শনীয় স্থান মাছের ঘের এলাকায় ঘুরতে যায়। চর বালিদিয়া মাছের ঘের এলাকায় বিকাল বেলায় অনেক দর্শনার্থী ঘুরতে আসে। সেখানে তারা গেলে উক্ত এলাকার কতিপয় বখাটেরা তাদের আটক করে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।
তার ছেলে বন্ধুদের গাছ থেকে ডাল ভেঙে মারধর করে এক স্থানে আটক করে রাখে। মারধরের একপর্যায়ে মোঃ সিয়াম হোসেন, হৃদয় মোল্যা,মিল্টন মুন্সী ও তুফান মোল্যা উক্ত ছাত্রীকে নিয়ে লোহাগড়া থানাধীন নলদী ইউনিয়নের চর বালিদিয়া গ্রামের জনৈক মহিদ মোল্যা, পিতা-মোশারেফ মোল্যার মাছের ঘেরের উত্তর পাশের ঝোপের ভিতরে নিয়ে যায় । মোঃ সিয়াম হোসেন ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় ধর্ষণ করে। মোঃ সিয়াম হোসেন ধর্ষণ করার পর হৃদয় মোল্যা ভিকটিমকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ভিকটিমের ডাক-চিৎকারে তাকে ও তার সাথে থাকা অন্যান্যদের ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে আসামিরা পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিমকে তার বন্ধুরা উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসার পর ভিকটিমের বাবা ঘটনা শুনে বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করে মামলা নং-০১/১৩৯, ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১)/৩০ রুজু করা হয়। মামলা পরবর্তী নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার মোহাঃ মেহেদী হাসানের নির্দেশনায় আসামি গ্রেফতারে মাঠে নামে লাহুড়িয়া তদন্তকেন্দ্রের পুলিশের একটি চৌকস টিম।
এরই ধারাবাহিকতায় ০৫/০৬/২০২৪ বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টার সময় নড়াইল জেলার লাহুড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ সেলিম উদ্দিন এর তত্বাবধানে এসআই এম সজীব আহমেদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ সিয়াম হোসেন,পিতা-রিয়াজুল ইসলাম, ২। মোঃ রুবেল শেখ, পিতা-মজিবর শেখ, উভয় সাং-চর বালিদিয়া’দের তাদের নিজ নিজ বাড়ি হতে গ্রেফতার করে। আসামিদেরকে গ্রেফতার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এরপরে আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।