স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের শাল বরাত গ্রামের নান্নু মোল্লার পরকীয়া প্রেমে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে,ইতো পূর্বে নান্নু মোল্লা সালবরাত গ্রামের কয়েকটি পরিবারের গৃহবধূর সাথে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে মেয়েদেরকে বিয়ের প্রলোভন সহ বিভিন্ন প্রকার লোভ-লালসা দিয়ে সংসার ভেঙেছে বলে একাধিক লোকের অভিযোগ।
জানা গেছে শালবরাত গ্রামের কেরামত আলীর স্ত্রী সীমা বেগমের সাথে অনেকদিন ধরে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েছে নান্নু মোল্লা। সেই প্রেমের জের ধরে নান্নু মোল্লা কেরামত আলীর স্ত্রী সীমা বেগমকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বিভিন্ন জায়গায় যায় এবং রাত্রি যাপন করে। এর একপর্যায়ে গত (১৬ মে) নান্নু মোল্লা কেরামতের স্ত্রী সীমাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে লুটিয়া গ্রামে যায়। সেখানে গিয়ে দুজনেই একসাথে অনেক সময় কাটান। এদিকে এ সমস্ত ঘটনা নিয়ে সীমার স্বামী কেরামতের কানে গেলে রাগে ক্ষোভে লজ্জায় কেরামত আলী বিষক্রিয়া পদার্থ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কেরামত আলীর মা সাংবাদিকদের বলেন এই নান্নু মোল্লার কারণে আমাদের গ্রামে অনেক সংসার নষ্ট হয়েছে। এখন নান্নু মোল্লা আমার সংসার টাও নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমি এই গ্রামের মানুষ এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই।
ওই এলাকার একাধিক মানুষ বলেন, নান্নু মোল্লা অনেক আগের থেকেই লুচ্চা বদমাশ। অনেক পরিবার ধ্বংস করেছে এ পর্যন্ত। নান্নু মোল্লা এই পরকীয়া প্রেম করার জন্য গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ। নাম না বলা শর্তে একজন রাগে ক্ষোভে বলেন, আমার মাকে নিয়েও সে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের কান্ড ঘটিয়েছে এবং আমাদের সংসার টা নষ্ট করেছে। গ্রামের মান্যগণ্য ব্যক্তি এবং লোহাগড়া পুলিশ প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে নান্নু মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে গ্রামের ষড়যন্ত্র চলছে। এবং আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে সম্পূর্ণ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য গ্রামের কিছু লোক উঠে পড়ে লেগেছে আপনারা সঠিক তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে।