নাজিম সরদার স্টাফ রিপোর্টার
সত্য সংবাদ প্রকাশ করায় খুলনার রূপসা উপজেলার মাসুম সরদার নামে এক সাংবাদিকের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ৪ মে ২০২৪ শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার সময় খুলনা শহরের বড় বাজার ডেল্টা খেয়াঘাট এলাকায় তিনি এই হামলার শিকার হন। মাসুম সরদার ইবি নিউজ নামে একটি অনলাইন পোর্টালে কর্মরত আছেন এছাড়াও তিনি রূপসা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ ওহিদুজ্জামান আরমান মিয়ার নেতৃত্বে রাঙা সোহেল সহ কয়েকজন মিলে এই হামলা চালায়। হামলার নেতৃত্ব দেওয়া ওহিদুজ্জামান আরমান রূপসা উপজেলার কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। নিজে মারধর করে নিজের ফোনে ভিডিও রেকর্ড ধারণ করে নিজের ফেসবুক আইডিতে ছেড়ে দেন কৃষক লীগ নেতা আরমান মিয়া।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাসুম সরদার বলেন, গতকাল বিকালে কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে বড় বাজার কলার আড়তের সামনে আসলে রাঙা সোহেল পথ রোধ করলে, পরে ওহিদুজ্জামান আরমান মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে হেনস্থা করে এবং মোবাইল ফোন ও পকেটে থাকা টাকা কেড়ে নেয়, পরে মোবাইলটা নদীতে ফেলে দেয়।
একপর্যায়ে তারা আমার পেটে ছুরি ঠেকিয়ে মারধোর করে। আর গালিগালাজ-মারধোর করে ভিডিও করতে থাকে, স্থানীরা আমাকে উদ্ধার করে দ্রুত নিকটস্থ রুপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা ভর্তি করে দেন।
জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারী মাসের ২৪ তারিখ ২০২৪ রূপসা উপজেলার রাজাপুর এলাকার যুবলীগ নেতা আয়ানের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। সেই হামলার ঘটনায় আসামী ছিলেন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দেওয়া ওহিদুজ্জামান আরমান মিয়া।
পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিক মাসুম সরদার যুবলীগ নেতার করা মামলার বরাত দিয়ে আসামীদের নাম প্রকাশ করে সংবাদ প্রকাশ করেন। এই ঘটনার ক্ষুব্ধ ছিলো আসামীরা। গত ৫ ই মার্চ হাইকোর্টের বিজ্ঞ আদালত জামিন পেয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী সাংবাদিকের ওপরে হামলা করা হয়।
মাসুম সরদার জানান, হাসপাতালের কাগজ নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে সেখানে মামলা নেয়নি রূপসা থানায় কর্মরত অফিসার তিনি খুলনা সদর থানায় মামলার পরামর্শ দিয়েছেন।মারধোরের ভিডিও সহ খুলনা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলায় রূপসা রিপোর্টার্স ক্লাব ও উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। এছাড়াও তার নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে এলাকায়। তাকে অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করার দাবি জানাই।