বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে ময়মনসিংহে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার (১৭ মার্চ) ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উম্মে সালমা তানজিয়া, বিভাগীয় কমিশনার, ময়মনসিংহ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: শাহ আবিদ হোসেন, ডিআইজি, ময়মনসিংহ রেঞ্জ, মাছুম আহমেদ ভূঞা, পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ, অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ, ময়মনসিংহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, আজকে জাতির জীবনে একটি তাৎপর্য ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে যার জন্ম হয়েছে, তিনি যদি না জন্মাতো তাহলে বিশ্বের ইতিহাসে বাংলাদেশের নাম আসতো না। তিনি স্বাধীন বাংলার কারিগর।
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, এ প্রজন্মের যারা আছো তোমরা খুব সৌভাগ্যবান। তোমরা খুব সহজেই জাতির পিতার দর্শন, জাতির পিতার আত্মত্যাগ ও এ দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে পারছো। আমার সময় ইতিহাস গুলো ছিল তালাবদ্ধ। আমাদেরকে সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হতো না। তাই তোমাদেরকে সৌভাগ্যটা কাজে লাগাতে হবে। জাতির পিতার আদর্শ ও চেতনা ধারণ করে বাংলাদেশকে তোমরা নেতৃত্ব দেবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ শাহ আবিদ হোসেন বলেন, বাঙালির যে অর্জিত স্বাধীনতা এটি হাজারো লড়াইয়ের ফসল। আজকে যদি জাতির পিতার জন্ম না হতো তাহলে স্বাধীন বাংলার জন্ম হতো না। তবে এই অর্জিত স্বাধীনতা কে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের ও আমাদের আগামী প্রজন্মের। আর এর জন্যই আমাদের আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর চেতনা, আত্মত্যাগ ও দর্শনকে উপলব্ধি করতে হবে। একই সাথে তা ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যার মাধ্যমে জাতির পিতার কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্যে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে আনবো হাসি সবার ঘরে’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এইবার এই দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। জাতির পিতা স্বপ্ন ধরে সত্যিকারেই আমরা যদি প্রতিটি ঘরে হাসি আনতে চায় তাহলে, আমাদের ঠিক জাতির পিতার মতো দেশপ্রেমী,আপোসহীন, আত্মত্যাগী, দূরদর্শী হতে হবে। তার দর্শন আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিশেষ করে আগামী প্রজন্মের যারা স্মার্ট বাংলাদেশের হাল ধরবে ,তাদের এই গুণাবলীর অধিকারী হতে হবে।
আলোচনা সভার শেষে শিক্ষার্থীরা প্রধান অতিথির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে।পরে র্শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।