নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানাধীন পাখিমারা পশ্চিম পাড়া গ্রামস্থ আসামী মোঃ লেকবার সরদার (২৪) এর নিজের বসত ঘরের খাটের নিচে হতে এ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য একটি প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে স্কচটেপ দিয়ে পলিথিনে মোড়ানো ১২ (বার) টি প্যাকেটে, প্রতি প্যাকেটে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা ২ (দুই) কেজি করে মোট-২৪ (চব্বিশ) কেজি জব্দ করে জব্দকৃত আলামতের অনুমানিক অবৈধ বাজার মূল্য মোট- ৭,২০,০০০ (সাত লক্ষ বিশ হাজার) টাকা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নবী নেওয়াজ বলেন ২৫ ফেব্রুয়ারি জানতে পারি যে, নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানাধীন পাখিমারা পশ্চিম পাড়া গ্রামস্থের বিভিন্ন জায়গায় আসামী মো: লেকবার সন্ধদার নামের এক ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় করে। উক্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়, খুলনা এর বিভাগীয় স্টাফ উপ- পরিদর্শক কে এম হানিফ, উপ পরিদর্শক মোছাঃ রাফিজা খাতুন, সহকারী উপ-পরিদশক মোঃ আজগার আলী, সহকারী উপ-পরিদশক শেখ গোলাম মোস্তফা, সিপাই মোঃ হাসানুজ্জামান, সিপাই এস এম ফাহাদ হোসেন, সিপাই খালিদ আল আজাদ সিপাই মো: নাইমুল হোসেন, সিপাই মিনহাজুর রহমান, সিপাই তাপস কুমার, ওয়ারলেস অপারেটর মোঃ জহির হোসেন এর সমন্বয়ে নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানাধীন পাখিমারা পশ্চিম পাড়া গ্রামের আসামী মোঃ লেকবার সরদার এর বাড়ীতে সকাল: ৭.০০ ঘটিকায় ঘেরাও করি।
অতঃপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরপেক্ষ সাক্ষী মোঃ আল-আমিন সরদার (৩৫) মোঃ আবুল কাশেম সরদার (৪৫) দ্বয়কে সাথে নিয়ে আসামীর বসত ঘর বিধি মোতাবেক তল্লাশি করে খাটের নিচে মেঝে (যাহা আসামীর শয়ন কক্ষ) হতে একটি প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে স্কচটেপ দিয়ে পলিথিনে মোড়ানো ১২ (বার) টি প্যাকেটে, প্রতি প্যাকেটে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা ২ (দুই) কেজি করে মোট ২৪ (চব্বিশ) কেজি গাজা উদ্ধার ও জব্দ করি। জব্দকৃত আলামতের অবৈধ বাজার মূল্য মোট- ৭,২০,০০০ (সাত লক্ষ বিশ হাজার) টাকা। আসামী মোঃ লেকবার সরদার (২৪) কে ঘটনাস্থলে হাতেনাতে গ্রেফতার করি। উদ্ধারকৃত আলামতের একটি জব্দ তালিকা ও নমুনা লেবেল প্রস্তত পূর্বক তাহাতে সাক্ষীদের স্বাক্ষর গ্রহণ করি।
উপরোক্ত ঘটনার আলোকে গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ লেকবার সরদার (২৪) বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংরক্ষণ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬ (১) সারণির ১৯ (গ) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় আসামীর বিরুদ্ধে উক্ত ধারা মোতাবেক নড়াগাতী থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেন। আলামত বিভাগীয় হেফাজতে আছে। মামলাটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়, খুলনা কর্তৃক তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।