শিক্ষকের প্রতারণার কারণে ছয় পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারে নাই
১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে এসএসসি পরীক্ষার ছিল প্রথম পরীক্ষা। কেন্দ্রে গিয়ে প্রবেশপত্র না পাওয়ায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ছয় শিক্ষার্থী ,ঘটনার পর থেকে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছে প্রতারণার শিকার হওয়া ছয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
অনেক চেষ্টা করেও কোন হাদিস পাওয়া যায়নি প্রতারক শিক্ষক আমিনুলের, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানায় ব্রাহ্মন্দী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নরসিংদী ডিজিটাল গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিতে দিতে পারবে এমন প্রলোভন দেখায় প্রতারক শিক্ষক আমিরুল ইসলাম। পরবর্তীতে ছয় শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি পর্যায়ক্রমে ২৫০০০ টাকা নিয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং প্রবেশপত্র দেওয়ার আশ্বাসদেন।
গতকাল রাত পর্যন্ত প্রবেশপত্র দেওয়া আশ্বাসের পর তাদেরকে রায়পুরা উপজেলা বালুয়া কান্দি উচ্চ বিদ্যালয় এ উপস্থিত থাকার কথা বলে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন প্রতারক শিক্ষক আমিরুল। এরপর থেকে প্রতারক শিক্ষক আমিরুল ইসলামকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অদ্য বৃহস্পতিবার সকালে যথারীতি পরীক্ষার সেন্টারে গিয়ে সেখানে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে না পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ছয় শিক্ষার্থীরা। বেশ কিছুক্ষণ কান্নাকাটির পর সেখান থেকে নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয় অবস্থান নিয়ে পরীক্ষার অংশ নেওয়ার পাশাপাশি প্রতারক শিক্ষক আমিরুলের বিচার দাবি করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ ব্যাপারে অদ্য বেলা পৌনে দুইটাই নরসিংদী জেলা প্রশাসক ডক্টর বদিউল আলম বলেন বিষয়টি সম্পর্কে এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি, প্রাথমিকভাবে আমি জানতে পেরেছি। বিদ্যালয়টির অনুমোদনের কোন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি তবে প্রতারক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুতই প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কে প্রতারকের হাত থেকে সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।