ফাতেমা আক্তার মাহমুদা ইভা স্টাফ রিপোর্টার
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, রোজ সোমবার দুপুর ২:০০টায় আইইএবি এর চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও মহান বিজয় দিবস -২০২৪ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইইএবি) সফলতার সাথে উদযাপন করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে (আব্দুস সালাম হল) উৎসবমূখর পরিবেশ প্রকৌশলদের এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রোগামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রীণ ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন। তিনি বলেন, শিল্প কারখানার চাকা সচল মানে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল। শিল্প সেক্টরের চাকা সচল রাখতে শিল্প প্রকৌশলীরা গুরুত্বপূর্ণ্য ভুমিকা রেখে চলছে। বাংলাদেশে রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা, ইকোনমিক জোন, হাই-টেক পার্ক/আইটি পার্ক, বিভিন্ন গ্রুপ অব কোম্পানীর শিল্প প্রতিষ্ঠান, ম্যাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর শিল্প প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন সরকারী/বেসরকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশ শিল্প সমৃদ্ধ এবং শিল্প সম্ভাবনাময় একটি দেশ। এই দেশে দিন দিন শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সেই পরিক্রমায় এই দেশে শিল্প সেক্টর সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক শিল্প প্রকৌশলী কর্মরত। অথচ এই শিল্প প্রকৌশলীরা তাদের কর্মক্ষেত্রে সবচাইতে বেশী বৈষম্যের এবং হয়রানির শিকার হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইইএবি) শিল্প সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের বৃহৎ সংগঠন। তাই শিল্প ও বেনরকারী সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের সকল বৈষম্যে দূরীকরণে এই সংগঠনকে জোড়ালোভাবে কাজ করতে হবে। শিল্প/বেসরকারি/প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে ফ্রেশ ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের এন্ট্রি লেভেলে সর্বনিম্ন বেতন = ২০,০০০/- টাকা এবং ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট প্রকৌশলীদের নিয়য়াগের ক্ষেত্রে এন্ট্রি লেভেলে সর্বনিম্ন বেতন =৩০,০০০/- টাকা নির্ধারণ করাটা যৌক্তিক ও সময়ের দাবী।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবুল কাশেম হায়দার, চেয়ারম্যান, ইয়ুথ গ্রুপ এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। তিনি বলেন, শিল্প প্রিতিষ্ঠান / বেসরকারী খাতে কর্মরত প্রকৌশলীদের ন্যায্য দাবী, অধিকার, সুবিধা ও অসুবিধা, কল্যাণ এবং বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম এর নাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইইএবি)। এই সংগঠনটি ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। আজ এই সংগঠনের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই অল্প সময়ের ব্যবধানে সংগঠনটি প্রকৌশলদের কর্মসংস্থান সহ শিল্প/প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের সার্বিক কণ্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকৌঃ মোঃ বি. ডি. রহমতউল্লা, সাবেক মহাপরিচালক, পাওয়ার সেল, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইইএবি) পরিবার প্রতি বৎসর ১১ ডিসেম্বর “শিল্প প্রকৌশল” দিবস হিসেবে পালন করে আসেছে (এই দিনটি আইইএবি এর অনানুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী)। শিল্প সেক্টরে কর্মরত শিল্প প্রকৌশলীদের জন্য স্বতন্ত্র একটি দিবস থাকা থুবই যুক্তিযুক্ত ও যথার্থ। শিল্প সেক্টরে কর্মরত শিল্প প্রকৌশলীদের জন্য স্বতন্ত্র একটি দিবস এর প্রয়োজনীয়তা/দাবী আইইএবি পরিবার কর্তৃক শিল্প প্রকৌশলী দিবস ঘোষণার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি মনে করি, শিল্প প্রকৌশলী দিবস এর এই দিনটিকে উপলক্ষ্য করে শিল্প প্রতিষ্ঠান/বেসরকারী খাতে কর্মরত প্রকৌশলীদের ন্যায্য দাবী, অধিকার, সুবিধা ও অসুবিধা, কল্যাণ এবং সকল বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে কথা বলার পথ আরো বেশী সুগম হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার, সভাপতি, জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি, আইইএবি। প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার বলেন – ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইইএবি), বাংলাদেশে শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি/প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের একটি বৃহৎ পেশাজীবি সংগঠন । আইইএবি এই সেক্টরে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারদের অনলাইন/ফিজিক্যাল ট্রেনিং-এর মাধ্যমে স্কীল ডেভেলপ করে তাঁদের ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছে। এই সংগঠন শিল্প/বেসরকারি সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার বাস্তবায়ন এবং সার্বিক কল্যাণার্থে কাজ করে যাচ্ছে। আইইএবি বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশল অঙ্গনে কর্মরত প্রকৌশলীদের সমন্বয় করেছে। সকল টেকনোলজির ডিপ্লোমা ও গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ারগণ এই সংগঠনের সাথে একই পরিবারের অংশ হিসেবে যুক্ত রয়েছে্, যারা তাঁদের মেধা ও শ্রম দিয়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের শিল্প কারখানাগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রয়োগ সহজতর করেছে।
শিল্প সেক্টরের চাকা সচল মানে দেশের অর্থনীতিতে চাকা সচল। এই শিল্প সেক্টরের চাকা সচল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে শিল্প প্রকৌশলীরা। ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেব্যুলেশন ৪.০ /৫.০ এর এই এই যুগে শিল্পক্ষেত্রে আধুনিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন সিস্টেম ( PLC, SCADA & DCS) এবং রোবোটিক্স সিস্টেম ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্প প্রকৌশলীরা উক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার সহজতর করেছে।
বাংলাদেশ শিল্প সম্ভাবনাময় একটি দেশ। দিন দিন এই দেশে শিল্প সমৃদ্ধ হচ্ছে। রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড), ইকোনমিক জোন এবং হাইটেক পার্ক, গ্রুপ অব কোম্পানি এবং মান্টিন্যাশনাল কোম্পানি, বেসরকারি ব্যাংক / বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি / শিল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য বেসরকারি / প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রকৌশলীরা সবাই আইইএবি পরিবারের অংশ হয়ে একই বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছে। তাই আইইএবি বাংলাদেশ শিল্পক্ষেত্রে কর্মরত এবং বেসরকারি/প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন।
তাই, এই সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের গুরুত্ব অপরিসীম। বৈষম্যহীন আধুনিক প্রযক্তি নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ শিল্প ও বেসরকারি/প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের ছাড়া সম্ভব নয়। অথচ এই সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের নেই কোন বেতন কাঠামো, চিকিৎসা/নিরাপত্তা ঝুঁকি ভ্রাতা, গ্রুপ ইন্সুরেন্স, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচ্যুয়েটি ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সকল বিষয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নে আইইএবি পরিবার কাজ করে যাচ্ছে। সময়ের প্রয়োজনে আমাদের বর্তমানে যে দাবী বাস্তবায়নের কাজ করছি; শিল্প/বেসরকারি/প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে ফ্রেশ ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের এন্ট্রি লেভেলে সর্বনিম্ন বেতন =২০,০০০/- নির্ধারণ করতে হবে এবং শিল্প/বেসরকারি/প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট প্রকৌশলীদের এন্ট্রি লেভেলে সর্বনিম্ন বেতন =৩০,০০০/- নির্ধারণ করতে হবে। আইইএবি পরিবার প্রত্যাশা করে সরকার এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ে সমাধান করবেন। আইইএবি পরিবারের ও বাংলাদেশর সম্মৃদ্ধি কামনা কামনা করে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
ইক্ত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছ বক্তব্য প্রদান করেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ: মো: আলমগীর। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আমাদের দেশের প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলী গন তাদের কর্মস্থলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের চাকরির কোন নিশ্চয়তা নাই। কেউ আবার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি পাচ্ছেন না। এরকম অসংখ্য বৈষম্য বর্তমানে প্রাইভেট সেক্টরে বিরাজমান। তিনি আরো বলেন, শিল্প/বেসরকারি/প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে ফ্রেশ ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের এন্ট্রি লেভেলে সর্বনিম্ন বেতন = ২০,০০০/- টাকা এবং ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট প্রকৌশলীদের নিয়য়াগের ক্ষেত্রে এন্ট্রি লেভেলে সর্বনিম্ন বেতন =৩০,০০০/- টাকা নির্ধারণ করাটা যৌক্তিক ও সময়ের দাবী। এটা সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
উক্ত প্রোগামে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌঃ মুহাম্মদ মশিউর রহমান, সহ-সভাপতি, জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি, আইইএবি এবং প্রকৌঃ মেহেদী হাসান, অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক, জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি, আইইএবি।
উক্ত অনুষ্ঠানটি যৌথ্যভাবে উদ্বোধন করেন প্রকৌঃ মোঃ মঈনুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং প্রকৌঃ শরিফূল ইসলাম, সদস্য সচিব, চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং মহান বিজয় দিবস -২০২৪ উদযাপন কমিটি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইইএবি)। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকৌঃ মোঃ এহেত এসামুল হাসান, আহবায়ক, চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং মহান বিজয় দিবস -২০২৪ উদযাপন কমিটি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইইএবি)।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌঃ মোঃ লোকমান হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য, জাতীয় প্রেসিডিয়াম কাউন্সিল, আইইএবি (বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত: সাভার-মাসিকগঞ্জ শিল্প বিভাগ, আইইএবি); প্রকৌঃ মীর সালাত মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য, জাতীয় প্রেসিডিয়াম কাউন্সিল, আইইএবি (বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত: ঢাকা বিভাগ, আইইএবি); প্রকৌঃ মোঃ আল আমিন খাঁন সুমন, প্রেসিডিয়াম সদস্য, জাতীয় প্রেসিডিয়াম কাউন্সিল, আইইএবি (বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত: বরিশাল বিভাগ, আইইএবি); প্রকৌঃ মোঃ রায়হানুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য, জাতীয় প্রেসিডিয়াম কাউন্সিল, আইইএবি (বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত: ময়মনসিংহ বিভাগ, আইইএবি); প্রকৌঃ মোহাম্মদ সোহেল ভুইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য, জাতীয় প্রেসিডিয়াম কাউন্সিল, আইইএবি (বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত: নরসিংহদী কিশোরগঞ্জ শিল্প বিভাগ, আইইএবি) এবং প্রকৌঃ মো: শরিফুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য, জাতীয় প্রেসিডিয়াম কাউন্সিল, আইইএবি (বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত: ময়নামতি/মেঘনা বিভাগ, আইইএবি)।
প্রোগাম শুরু হয় দুপুর ২:০০টায় এবং প্রোগাম শেষ হয় রাত ৮:৩০ মিনিট। উৎসবমুখর পরিবেশে কেক কেটে আইইএবি এর চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয় এবং অনুষ্ঠানে অতিথিদের ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সম্মাননা দেওয়া হয়। নতুন সদস্যদের মেম্বারশীপ সনদ প্রদান করা হয়।