যশােরের চৌগাছার আলােচিত চার সন্তানের জননী রাবেয়া বেগম হত্যাকান্ডে থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহতের স্বামী রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে হত্যা মামলাটি করেন। এ দিন মাগরিবের সময় নিহতের মরাদেহ যশাের ময়না তদন্ত শেষে বাড়িতে পৌছায় এবং এশাবাদ নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন সম্পন হয়।
হত্যার শিকার রাবেয়া বেগমের মেয়ে তানজিলা খাতুন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার কিছু আগে তার মায়ের মরাদেহ বাড়িতে এসে পৌছায়। তখন স্বজনহারাদের আর্তচিৎকারে বাতাস ভারি হয়ে উঠে। এশার নামাজের পর জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন হয়। তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকালে তার পিতা বাদি হয়ে চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন, কিন্তু পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। হত্যাকান্ডে জড়িত তামিম বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি অভিযােগ করেন।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ পায়েল হােসেন বলেন, নিহতের স্বামী রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে তামিমের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পুলিশ আসামি আটকের সর্বােচ চেষ্টা অব্যহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের বাঘারদাড়ি গ্রামের নিখােঁজের তিনদিন পরে প্রতিবেশির বাড়ির টিউবওয়লের পানি রাখা গর্তের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় চার সন্তানের জননী রাবেয়া বেগমের মরাদেহ। চাঞ্চল্য এই হত্যাকান্ডের খবর হতবাক গাটা এলাকার মানুষ।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন যশােরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান। হত্যার সাথে যেই জড়িত থাক না কেন তার বিচার হবে বলে স্বজনদের আস্বস্ত করেন