অন্তর্বর্তী সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, একসঙ্গে সব পণ্যের দাম কমানো সম্ভব নয়। বাজারে একটার দাম বাড়বে, আকেরটার দাম বাড়বে, এটাই বাজারের নিয়ম। সাংবাদিকরা কোনো পণ্যের দাম বাড়লে দেখে, কমলে দেখে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
এক সাংবাদিক জানতে চান, আপনারা যেভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তার প্রভাব বাজারে দেখা যাচ্ছে না। জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রভাব যে একেবারে নাই তা নয়। আপনারা খালি দেখেন আলুর দাম বেড়ে গেছে, অন্যগুলো যে সাশ্রয়ী হয়েছে সেটা দেখেন না।
সালেহউদ্দিন বলেন, আপনি বাজারে এক হাজার টাকা নিয়ে যান কোনাটার দাম বেশি হবে, কোনোটা কম হবে। প্রত্যেকটার দাম কমতে হবে, এটা ডিফিক্যাল্ট। বাজার এমন একটা জিনিস একটার দাম কমবে, একটার দাম বাড়বে। আজকে আমি বাজার করলাম, কালকে সকালে দেখব একটার দাম কমেছে, একটার দাম বেড়েছে। কমারটা তো বলে না, বাড়ারটা বলে।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা তাড়াতাড়ি প্রসেস করে, যৌক্তিক যে জিনিসগুলো ক্রয় করা প্রয়োজন সেগুলো অনুমোদন দিই। আজকে আমরা বিভিন্ন ধরনের সার কেনার অনুমোদন দিয়েছি। এলএনজি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছি।
সরকারি ক্রয় কমিটির বৈঠক ঘন ঘন হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ঘন ঘন ক্রয় কমিটির মিটিং করে অত্যাবশ্যকীয় জিনিস বা জরুরি জিনিসপত্র ক্রয়ে দ্রুত অনুমোদন দিই। এই সরকার মোটামুটি কর্মব্যস্ত, এটা তার একটা প্রমাণ। এত ঘন ঘন মিটিং আমি আগে দেখিনি।
সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকের মধ্যে একটি মিস কনসেপশন (ভুল ধারণা) আছে, সেটা গতকাল বাণিজ্য উপদেষ্টা ক্লিয়ার করেছেন, প্রতি টনে সয়াবিন তেলের কত দাম বেড়েছে, ৩০-৪০ বছরে এতো দাম বাড়েনি। যাই হোক আন্তর্জাতিক বাজার তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকের বৈঠকে নবম, দশম শ্রেণির পাঠ্যবই মুদ্রণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জেনারেল এডুকেশন প্লাস মাদ্রাসার। পাঠ্যবই আমরা দ্রুত চাচ্ছি। জানুয়ারির মধ্যে আমরা পাঠ্যবই করে ফেলতে বলেছি। চেষ্টা করবে, তবে জানুয়ারির মধ্যে হয়তো সবগুলো করে ফেলতে পারবে না।