সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি এবং বাহিনীটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফের ভূমিকা সম্পর্কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন ও মনগড়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিজিবি। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিজিবির ফেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এই অনুরোধ জানানো হয়।
বিজিবির ফেসবুক পেইজে বলা হয়, ‘মেজর জেনারেল আশরাফের ভূমিকা সম্পর্কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন ও মনগড়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। তারা মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বিজিবি এবং বিজিবির ডিজির নামে এই অপপ্রচারগুলোতে দাবি করা হচ্ছে- বিজিবি প্রধান ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে এবং ভারতীয় নাগরিকদের পোশাক পরিয়ে মাঠে নামিয়েছে। এমনকি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার ষড়যন্ত্র এবং শিক্ষার্থীকে হত্যার মনগড়া তথ্যও ছড়ানো হচ্ছে। এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।’
প্রকৃত সত্য হলো- বিজিবির ডিজির নির্দেশনায় আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে হত্যার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। ভারতীয় নাগরিকদের বিজিবির পোশাক পরিয়ে আন্দোলন দমন করার তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আর ৫ আগস্ট বিজিবি মহাপরিচালকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ১০ হাজার লোক মেরে ফেলা কিংবা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখা ইত্যাদি বিষয়ে কোনো ধরনের কথাই হয়নি। ৫ আগস্ট সকাল থেকে ঢাকার প্রবেশদ্বারে বিজিবি ছাত্র-জনতাকে সমর্থন করেছে। বিজিবির যে সদস্য অপেশাদার আচরণ করেছে তার বা তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিজিবির ওই পোস্টে আরও জানানো হয়েছে, এটি স্পষ্ট যে, স্বার্থান্বেষী মহল একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে বিজিবি ও বাহিনীর মহাপরিচালকের সুনাম নষ্টের জন্য এসব অপপ্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
অপপ্রচারে কান না দিয়ে সত্যের পক্ষে থাকার অনুরোধ জানিয়ে বিজিবি বলেছে, বিভ্রান্তি এড়াতে যাচাই-বাছাই করুন এবং প্রকৃত তথ্য সবার সামনে তুলে ধরুন। বিজিবি দেশের মানুষের পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করেছে এবং ভবিষ্যতেও করে যাবে।