মো: আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নারানদিয়া গ্রামে গ্রাম্য কোন্দলের জের ধরে দস্যুতার মামলায় প্রতিপক্ষের সাধারন জনগনকে জড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে তৃতীয় পক্ষ। এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার লোহাগড়া পৌর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে দস্যুতা মামলার বাদী পল্লব বিশ্বাস।
লিখিত বক্তব্যে পল্লব বিশ্বাস জানান, লোহাগড়া থানায় ২৮/১০/২০২২ তারিখের ২০নং মামলাটি বর্তমানে যশোর পিবিআই তদন্ত করছে। আমার স্বগ্রামী মেম্বর ফনিভূষন বিশ্বাস গোপনে উদ্দেশ্য মূলকভাবে আমার মামলায় হস্তক্ষেপ করছে। তিনি আমার গ্রামের বিভিন্ন লোকদের এই মামলায় আসামি করার হুমকি দিয়ে আসছে। তিনি আমার প্রতিবেশী স্কুল শিক্ষক বলাই কুমার মল্লিককে এই মামলায় ঢুকায় দেবে এবং চাকুরী খেয়ে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় বলাই থানায় একটি জিডি করেছেন। ফনিভূষন আমাকে না জানিয়ে বিভিন্ন সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে হয়রানি করছে। মেম্বর ফনিভূষন ষড়যন্ত্র এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে গ্রাম্য রাজনীতি,প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে আমার প্রতিবেশী পুলিশ ইনেস্পেক্টর আশিষ মৈত্রকে এই মামলায় জড়ানোসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচার করছে।
উদ্দেশ্যমুলকভাবে একজন পুলিশ অফিসারসহ অন্যের ক্ষতি করার সার্বিক বিষয়টি অবগত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আমি এফিডেভিটের মাধ্যমে অবহিত করেছি।
পল্লব বিশ্বাস আরো জানান, দস্যুতার ঘটনায় আমি কাউকে চিনতে পারিনি। আমি মামলার বাদী অথচ আমার অনুমতি ব্যতিত মেম্বর ফনিভূষন সংবাদ মাধ্যমে ও সামাজিকভাবে আশিষ কুমার মৈত্র ও বলাই কুমার মল্লিকসহ অন্যদের ই মামলায় সম্পৃক্ত করার যে হীন চক্রান্ত করছে তার বিরোধিতা সহ প্রত্যাখ্যান করছি। ফনিভূষনের কার্যকলাপে মনে হয় তিনি এ ঘটনায় জড়িত। এছাড়া তিনি নারাদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দাপ্তরিক পদে ওই গ্রামের রিপন কুমার বিশ্বাসের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ নেয়। পরবর্তীতে চাকরী দিতে না পারায় টাকা ফেরত চাইলে রিপনকে হুমকি দেয় এবং রিপনের পৈত্রিক সম্পত্তি অন্যের সম্পত্তিতে রুপান্তরিত করার জন্য মেম্বর ফনিভূষন ভূয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরী করে ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। মেম্বর ফনিভূষন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।