বুধবার সকালে গণভবনে বিশিষ্ট সাংবাদিকদের দুটি প্রতিনিধিদল পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি গুজবের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন।
প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক সমাজের সার্বিক উন্নয়নে তাঁর সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনা দেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ‘সিড মানির’ টাকা দিয়ে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে। আবার ক্ষমতায় এলে আমি এই ট্রাস্টে অর্থ প্রদান করব।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট ফান্ডে অনুদান দেওয়ার জন্য মিডিয়া হাউজের মালিকদের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি সাংবাদিকদের আধুনিক যুগের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নিজেদের প্রস্তুত করতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘অনলাইন নিউজ মিডিয়া এখন দ্রুত বিকাশ লাভ করছে। মানুষ এখন মুদ্রিত সংবাদপত্রের পরিবর্তে অনলাইনে খবর পড়ার জন্য ক্রমবর্ধমান হারে ব্রাউজ করছে-যা প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপস্থিত হচ্ছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তাদের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।’
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দশম মজুরি বোর্ড গঠন ও ঘোষণার পর মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার মূলত কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বেসরকারি খাতে ব্যাংক, বীমা ও মিডিয়া খুলেছে। আওয়ামী লীগই একমাত্র সরকার, যারা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে কিছু করেছে।
জনগণের পরিবর্তে আমার কোনও প্রভু নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণই আমার একমাত্র শক্তি। তাদের সমর্থনই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, অন্য কিছু নয়।