1. admin@naragatirsangbad.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
লোহাগড়ায় কাঠ বোঝাই অবৈধ লাটা উল্টে পড়ে ১ যুবকের মৃত্যু হয়েছে। লোহাগড়ায় নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হরিণাকুন্ডু পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯৫ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত।  খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে ঢাকাস্থ ইরানি রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশির দলিত জনগোষ্ঠীর ঝরেপড়া ১৪০ শিক্ষার্থী পেল শিক্ষা উপকরণ  লোহাগড়ায় সর্বদলীয় নেতা মেম্বার ধলু, যে দল ক্ষমতায় যায় সেই দলই তার  লোহাগড়ায় পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে ইয়াবাসহ পুরুষ ও নারী ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।  গোপালগঞ্জে জেলা বিএনপির নতুন আরো একটি কার্যালয়ে উদ্ভোধন রামপালে স্বপযাত্রার শিশুদের উদ্ভাবনী উৎসব মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের বার্ষিক কমিটি গঠন সভাপতি শহিদুল, সম্পাদক শামীম।

জাল দলিল চেনার উপায় কি?

অ্যাডভোকেট জাকিয়া মিম চৌধুরী
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৩৩৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

অ্যাডভোকেট জাকিয়া মিম চৌধুরী

১) দলিলের প্রথম পাতায় সবার উপরে দুটি নাম্বার থাকে, যার একটি বামে এবং অন্যটি ডান দিকে থাকে। বাম দিকের নাম্বারটি ডান দিকের নাম্বার থেকে বড় হয়; বামদিকে ৪৯৩৮ থাকলে ডানদিকে তার থেকে ছোট সংখ্যা হবে যেমন ৪৮৯৩। বামদিকের সংখ্যাকে বলা হয় দলিলের ক্রমিক নাম্বার এবং ডান দিকের সংখ্যাকে বলা হয় দলিল নাম্বার। বাম দিকের ক্রমিক নাম্বারটি যদি ডান দিকের দলিল নাম্বার থেকে ছোট হয় তাহলে দলিলটি জাল দলিল হিসেবে সন্দেহের অবকাশ থাকে।

২) প্রত্যেক নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প উত্তোলনের সময় স্ট্যাম্পের পিছনে উত্তোলনকারীর নাম এবং তারিখ থাকে। কোন সাফ-কবলা দলিল উক্ত স্ট্যাম্পের উপর লিখিত হলে যদি দেখা যায় যে, স্ট্যাম্প উত্তোলনের তারিখের পূর্বের তারিখে দলিলটি সম্পাদন করা হয়েছে তাহলে দলিলটি জাল দলিল বলার অবকাশ থাকে।

৩) দলিল দাতার সাক্ষর এবং টিপসই পরীক্ষা করে জালিয়াতি নির্নয় করা যায়। এর জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করতে হয়। আবেদন করা হলে যার হাতের লেখা, টিপসই বা সাক্ষর বলে দাবি করা হচ্ছে তাকে নোটিস দিতে হয়। তারপর, উক্ত ব্যক্তির লেখা, সাক্ষর বা টিপসই নেওয়া হয়। যদি মৃত্যু বা অন্য কোন কারনে লেখক বা স্বাক্ষরকারীকে না পাওয়া যায় তবে তার আগের কোন লেখা, টিপসই বা স্বাক্ষর অন্য দলিল হতে সংগ্রহ করে বিশেষজ্ঞের পরীক্ষার জন্য প্রেরন করা হয়। পরীক্ষার পর দলিলটি জাল কিনা সে সিদ্ধান্তে পোঁছানো যায়।

৪) ১৯৬০ সালের পর থেকে বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তানে দশমিক পদ্ধতির হিসাব প্রবর্তিত হয়; ১৯৬০ সনের পূর্বের দলিলে যদি দশমিক পদ্ধতিতে জমির হিসাব খাজনার পরিমান উল্লেখ থাকে তবে দলিলটি জাল হিসেবে গন্য করার অবকাশ থাকে।

৫) কোন রেজিষ্ট্রি দলিল নিয়ে সন্দেহের উদ্বেগ হলে তর্কিত রেজিষ্ট্রি দলিলটি সম্পাদনের সময় উক্ত অঞ্চলে সাব-রেজিষ্ট্রার কে ছিলেন তা বাহির করে তার স্বাক্ষর কৃত বিশুদ্ধ অন্য দলিলের সহিত তর্কিত দলিলটির স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখে জাল দলিল সনাক্ত করা যায়।

৬) ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ শব্দটি ১৯৭৬ সনে ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ জারির পর থেকে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার হয়ে থাকে। ১৯৭৬ সালের পূর্বের দলিলে যদি ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ শব্দটি লিখে তা পরিশোধের কথা বলা হয়ে থাকে তাহলে দলিলটি জাল হিসেবে ধরে নেওয়ার অবকাশ থাকে।

৭) সন্দেহকৃত দলিলে যদি বিভিন্ন দলিল বা খতিয়ানের রেফারেন্স দেওয়া থাকে তাহলে উক্ত দলিল বা খতিয়ান পর্যালোচনার মাধ্যমে মালিকানা হস্তান্তরের ধারাবাহিক বিবরণ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তর্কিত দলিলের সহিত বায়া দলিলের মালিকানা হস্তান্তরের বিবরনের সামঞ্জস্য না থাকলে দলিলটি জাল দলিল হিসেবে গন্য করার অবকাশ থাকে।

৮) কোন দলিলের রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে সন্দেহের উদ্বেগ হলে রেকর্ড রুমে তল্লাশীর মাধ্যমে দলিলটি রেজিষ্ট্রেশন হয়েছে কি হয় নাই তা জানা যায়। তল্লাশীর মাধ্যমে বালাম বহিতে যদি দলিলটির রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে কোন তথ্য না পাওয়া যায় তাহলে দলিলটি জাল দলিল বলে গন্য করা হবে।

৯) অনকে সময় দেখা যায়, জাল দলিলকারী মূল দলিলটির দাতা-গ্রহীতার নাম, ঠিকানা,দলিলের অন্যান্য বিবরণ ঠিক রেখে শুধুমাত্র দাতা-গ্রহীতার ছবি এবং এন আই ডি নাম্বার পরিবর্তন করে অন্যজনের ছবি সংযুক্ত করে হুবুহু একটি জাল দলিল সৃজন করে। আপনি যখন দলিলটি তল্লাশি দিবেন তখন মুল দাতা-গ্রহীতার নাম, ঠিকানা সবই সঠিক পাবেন এবং দলিলটি যে জাল সেটি সনাক্ত করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে দলিলে সংযুক্ত ব্যক্তিটির ঠিকানা এবং তার ছবিটি সঠিক রয়েছে কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে।

🇧🇩 আপনার প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন:🇧🇩

অ্যাডভোকেট জাকিয়া মিম চৌধুরী, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ঢাকা। এলএলবি (অনার্স), এলএলএম, অ্যাসোসিয়েট ( ড. খালেদ এইচ. চৌধুরী অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস বিরোধ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, DMS), স্থায়ী ঠিকানা : কালিয়া,নড়াইল। চেম্বার ঠিকানা :১১/১, কলাবাগান ১ম লেন, শহীদ আব্দুল মতিন রোড, ঢাকা-১২১৬, বাংলাদেশ।

চেম্বার -২ : রুম নং ৩০২০ (২য় তলা) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যানেক্সি ভবন রমনা, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।মোবাইল: +88 01737 386689 ই-মেইল: jakiamimchowdhury@gmail.com

Facebook Comments Box

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ নড়াগাতীর সংবাদ।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park