মামুন হাচান
খুলনা খালিশপুর থানাধীন ১৩ নং ওয়ার্ডের ০৫ নং বিটে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনারের সাথে খালিশপুর থানা কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ফোরাম এবং স্থানীয় জনসাধারণের আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। “পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত উক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা।
খালিশপুর থানা কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ফোরাম সদস্যবৃন্দ কর্তৃক আয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ০২ নং প্যানেল মেয়র ও ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম খুরশিদ আহম্মেদ (টোনা)।
আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার। বক্তব্যের শুরুতে পুলিশ কমিশনার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি ইতিহাসের মহানয়ক ও স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান স্থপতি বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতার শত্রু কতিপয় ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে শহীদ বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সকল শহীদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। একই সাথে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ সকল পুলিশ সদস্যসহ ত্রিশ লক্ষ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুলিশ কমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ও অপরাধ দমনের অন্যতম কৌশল হিসেবে কমিউনিটি পুলিশিং বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। ২০১৩ সালে স্বল্প পরিসরে কমিউনিটি পুলিশিংএর কাজ শুরু হয়েছিল। এটিই এখন কমিউনিটি পুলিশিং এবং বিট পুলিশিং নামে দেশব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কমিউনিটি পুলিশিং এবং বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে সচেতনতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে সমাজে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর অদ্যাবধি দেশের সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্সের প্রত্যয় ব্যক্ত করে পুলিশ কমিশনার মহোদয় বলেন, মাদক বর্তমান সমাজের মারাত্মক ব্যাধি। এই ব্যাধি দূর করতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। আগামী প্রজন্মকে আমরা যদি সঠিক গাইড লাইনে রাখতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সহজ হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীর সেবায় সর্বদা তৎপর। এখানে শান্তি বিনষ্টকারী ও নাশকতাকারীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এবং যে কোন নাশকতা মোকাবেলায় ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে গণমানুষের পাশে থাকতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমাদের উপর যে পবিত্র দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে তা আমাদের সততা, স্বচ্ছতার সাথে পালন করবো ইনশাআল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল, অতিঃ দায়িত্বে ক্রাইম) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন; অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) সোনালী সেন, পিপিএম-সেবা; সহকারী পুলিশ কমিশনার (খালিশপুর জোন) গোপীনাথ কানজিলাল; খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন, থানা সিপিও, বিট ইনচার্জ, কমিউনিটি পুলিশিং এবং বিট পুলিশিং নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।