আগামী সাত দিনের মধ্যেই নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দেবেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
একইদিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনার পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের আয় ও সম্পদের হিসাব প্রকাশের আহ্বান জানায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে নিজের অবস্থান ও দলীয় আনুগত্যবিষয়ক তথ্য প্রকাশেরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনার পদে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের নিজের ও নিকট পরিবারের নামে–বেনামে অর্জিত আয় ও সম্পদ থাকলে সেসবের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। তাদের আয়ের বৈধ সূত্রের সঙ্গে অর্জিত আয় ও সম্পদের সামঞ্জস্যের তথ্য, নিরপেক্ষ নিরীক্ষক কর্তৃক আয় ও সম্পদ বিবরণীর যথার্থতা, পর্যাপ্ততা ও সামঞ্জস্যতা যাচাইয়ের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে আমরা নিজেদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দেব। এ সময় নবনিযুক্ত কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজি সম্পদের হিসাব দেয়ার বিষয়ে সম্মত হন। নতুন নিয়োগ পাওয়া আরেক কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ যোগ না দেয়ায় উপস্থিত ছিলেন না।
তিনি আরও বলেন, যেখান থেকে নবজাগরণের সৃষ্টি সেটা হচ্ছে বৈষম্য। বৈষম্য মানেই দুর্নীতি। আমরা যদি দুর্নীতিকে কাত করতে পারি, কমিয়ে আনতে পারি তাহলে বৈষম্য ক্রমাগত কমে যাবে। একেবার নির্মূল হয়ত হবে না। এসব বিষয়ে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে রাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এই কাজগুলো যারা ঘটিয়েছেন তারা যাতে শেষ পর্যন্ত ছাড় না পান আমরা সে বিষয়টিই চেষ্টা করবো।