সততা ও কর্মদক্ষতা প্রতীক পিআইও আনিচুর রহমান, জন্ম তার ১৯৭৯ সালে নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার বাঐসোনা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে। স্থানীয় ডিএফ রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ালেখার হাতে খড়ি। তিনি জেডিএন হাই স্কুল থেকে এসএসসি বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম শ্রেণীতে কৃতিত্বের সাথে ১৯৯৮ সালে উত্তীর্ণ হন। এইচএসসিতেও প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। এরপর ঢাকা আইইউবিএটি ইউনিভার্সিটি হতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ জিপিএ-৩ নিয়ে সফলতার সাথে পাস করেন। এবং ২০২২ সালে খুলনা কুয়েট হতে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টেও জিপিএ-৩ নিয়ে উত্তীর্ণ হন।
তার পিতা আহম্মদ হোসেন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সক্রিয় বীর সৈনিক ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি মানবসেবার ব্রত নিয়ে চিকিৎসা পেশাকে বেছে নেন। তিনি এলাকার একজন মানবিক ও মানুষের বন্ধু ডাক্তার হিসেবে বহুল খ্যাত। রাত-দিন যে যখনই তাকে চিকিৎসার জন্য ডেকেছেন তারই চিকিৎসার জন্য তিনি ছুটে চলেছেন। কখনো টাকার কথা চিন্তা করেননি। অসহায় রোগীদের পাশে থেকে তাদের সেবা করে জীবনে আজ শেষ মুহূর্তের দিকে ধাবিত হচ্ছেন। যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান হিসেবে রূপসা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আনিচুর রহমানের কথা বলছিলাম। তিনি নড়াইলের একজন কৃতি সন্তান। ছাত্র জীবন, পারিবারিক জীবন ও কর্মজীবনে তিনি কৃতিত্বের অনেক অনবদ্য অবদান রেখে চলেছেন।
প্রিয় আনিচুর রহমানের কর্মজীবন শুরু হয় ২০১১ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে খুলনা জেলার বটিঘাটা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে। সেখানে তার কর্ম দক্ষতা ও নানাবিধ যুগান্তকারী পদক্ষেপের মাধ্যমে আজও তিনি বটিঘাটা উপজেলা বাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে। বর্তমানে তিনি ২০২২ সালের আগস্ট মাসের ২৩ তারিখে রূপসা উপজেলায় যোগদান করেন। যোগদান করে যুগান্তকারী ও জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এবং তার সততা ও উদারতার জন্য রূপসা বাসির মাঝে আনিচুর রহমানের সুনাম জল জল করছে। আর এ সময়ে তার বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আর্তমানবতার সেবায় দৃষ্টান্তস্থাপন করে ইতিমধ্যে তিনি ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।
বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতা ও মানবিকতার যুগান্তকারী পদক্ষেপ হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস করে দেয়া, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাড়ি করে দেওয়া যা বাস্তবায়নে ও তদারকিতে বিশেষ অবদান রেখে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন পিআইও মোঃ আনিচুর রহমান। সৎ সাহস ও সদিচ্ছা থাকলে একদিন কঠিন কাজেও সফলতা অর্জন করা সম্ভব সাম্প্রতিক সময়ে তার কর্মকাণ্ডের এমন দৃষ্টান্তস্থাপন করেছেন তিনি। যে কারণে রূপসাবাসি ও উপজেলা প্রশাসন প্রকল্পের উন্নয়ন ও সঠিক বাস্তবায়নে তাদের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে খুঁজে নিয়েছেন এই কর্মকর্তা কে। তার সততা, কর্মদক্ষতা ও অতিরিক্ত পরিশ্রমে ক্রমান্বয়ে বদলে গেছে উপজেলার পিআইও শাখার প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উপজেলার প্রতিটি উন্নয়নের কাজকে বাস্তবায়ন করে উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষে তিনি প্রতিটি প্রকল্পের কাজ স্ব- শরীরে পরিদর্শন করে সকল প্রকার উন্নয়নে জনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। তার কার্যালয়ে সবার জন্য উন্মুক্ত দ্বার হিসেবে পরিণত করে রেখেছেন পিআইও মোঃ আনিচুর রহমান।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণে জাতি যখন বিপর্যস্ত। তখন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আনিচুর রহমান তখন নিজের জীবনের কথা চিন্তা না করে জনসাধারনের পাশে থেকে মানবতার ফেরীওলা হয়ে সর্বক্ষণিক সরকারী সহায়তা দিয়ে চলেছে।
দাপ্তরিক কাজের বাহিরের ছুটে বেড়ান উপজেলার সব প্রান্তরের প্রকল্প স্পটে স্বচ্ছতা দেখভাল করতে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৯ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারিত থাকলেও জনগণের সেবার কারণে প্রয়োজনে সন্ধ্যার পর রাত অবধি অফিস করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল উন্নয়ন সেবা নিজ তত্ত্বাবধানে মানসম্মত করতে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন এই কর্মকর্তা।
উপজেলার মসজিদ – মন্দিরসহ কাবিখা, টিআর প্রকল্প গুলো সব সরেজমিনে গিয়ে কাজের গুণগত মান নিশ্চিত দেখে অর্থ ছাড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিআই আনিচুর রহমান। তার এমন নজরদারির ফলে স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত পরিবেশে উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে খুলনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ উপজেলার রূপসার প্রতিটি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট,ড্রেন ও কালভার্ট। যে কারণে তিনি স্বল্প সময়ে উপজেলার সবার মাঝে হয়ে উঠেছেন এক অসাধারণ গুণের মানুষ।
এ বিষয়ে ঘাটভোগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার ওয়াহিদুজ্জামান মিজান বলেন, এত ভালো, নম্র-ভদ্র পিআইও অতীতে দেখিনি। তিনি অসহায় এবং গরীব মানুষের প্রকৃত বন্ধু। অন্যায় এবং অসৎ ব্যক্তিদের কখনোই প্রশ্রয় দেয়না। যার কারণে সাধারণ মানুষ তার প্রতি আস্থা পেয়েছেন। এক কথায় তিনি একজন সততা এবং কর্মদক্ষতার প্রতীক। তিনি কখনো কোন অন্যায় কাজের সঙ্গে আপোষ করেন না। তিনি প্রত্যেকটি কাজের তদারকি করেন সশরীরে। এইতো কিছুদিন আগে সৌদি থেকে কুরবানীর দুম্বার গোশ এসেছিল রূপসা উপজেলায়। দুস্থদের মাঝে সেই গোশ বিতরণে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে সমাজসেবা অফিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এতিমখানার তালিকা নিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গদের কাছে সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে পরিমাণ গোস্ত এসেছিল তা বিতরণ করে সকলের মাঝে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি কোন স্বজন প্রীতি বা অনিয়মের প্রশ্রয় নেননি। নিয়ম অনুযায়ী যাদের প্রাপ্য, তাদের মাঝে সুষম বন্টন করেছেন।
একটা কথা মনে রাখতে হবে আমাদের চাহিদা অনেক সেই চাহিদা অনুযায়ী এবার দুম্বার গোস্ত আসেনি তাই হয়তো সকলের মাঝে বিতরণ করে সবার মন জয় করতে পারেনি তবে যতটুকুই এসেছে আমার দেখা মতে স্বচ্ছ ভাবে বিতরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুম্বার গোস্ত বিতরণের দিনে প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক ফ,ম আইয়ুব আলী বলেন, যেদিন দুম্বার গোস এসেছিল সেদিন আমি উপস্থিত থেকে দেখেছি। যে অল্প পরিমাণ গোস্ত এসেছিল তা প্রাপ্যদের মাঝে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ রূপসা উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর জাহান এর নির্দেশক্রমে আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জনাব আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে নিজে দাঁড়িয়ে প্রাপ্যদের মাঝে বিতরণ করেছেন। আমার দেখা মতে এবারই ভিন্নভাবে সুষ্ঠ প্রক্রিয়ায় এ গোস্ত বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের এই কর্মকর্তা আনিসুর রহমান উপজেলায় যোগদানের পর থেকে প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। তিনি সততা ও মানবিকতার সহিত প্রতিটি কাজ বাস্তবায়ন করে চলছে। রূপসা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার রুম থেকে বেরিয়ে আসা লাঠি ও প্রেসক্রিপশনের কাগজ হাতে নিয়ে এক বৃদ্ধ মহিলা বলেন, আমি এই অফিসের ঐ বাবা’র (পিআইও আনিচুর রহমানকে ইঙ্গিত করে) কাছে ওষুধ কেনার টাকা আনতে গিয়েছিলাম। ওই স্যারটা অনেক ভালা। সে সবসময় আমাকে ৫০,১০০ ও ২০০ করে টাকা দেয়। এই অফিস থেকে আমাকে শীতকালে কম্বল দেয়। তাই যখনই সমস্যায় পড়ি তখনই এই অফিসের ওই বড়বাবুর কাছে আসি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিচুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নের দপ্তরটি মানবসেবা ও উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সত্যি কথা বলতে কি আমাদের সরকারি চাকুরীজীবীদের নির্ধারিত দায়িত্ব ও কর্তব্য নেই, সুনির্দিষ্ট কোনো পরিধি নেই, জনগণকে সেবা দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। তবে যে কোন আপদ কালিন সময় মানুষের পাশে আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে দাঁড়াতে হবে বলে আমি মনে করি। আমি ব্যক্তিগতভাবে ছকে বাঁধা দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জনগণের মঙ্গল হয়, ভালো হয় সেটাই করার চেষ্টা করছি। তবে খুলনা-৪ সাংসদ আব্দুস সালাম মূর্শেদী , খুলনা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা , স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ ও সাধারণ মানুষের ঐকান্তিক সহযোগিতায় প্রতিটি কাজ করা সহজ হয় বলে মনে করি।