স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোর
যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ শহরের বেজ পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পর্নো প্রস্তুতকারী ও প্রচারকারী চক্রের সদস্য রাজীব কুমার দাস (২৩) ও বিথী আক্তার (২৪)কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রাজিব বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার বলভদ্রপুর গ্রামের সুজন কুমার দাসের ছেলে ও বিথী মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরের নয়াদিগির পাহাড় এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলী মেয়ে।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী গত ৭ মার্চ ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার ৪০৩ নম্বর জিডি মূলে অন্তরা আক্তার (১৫) নামে একটি মেয়ে নিখোঁজের সূত্র ধরে যশোরের ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টায় বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডে অভিযান পরিচালনা করে পর্নো প্রস্তুতকারী ও প্রচারকারী চক্রের রাজীব কুমার দাস ও বিথী আক্তার নামের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করে তাদের হেফাজত থেকে পর্নো তৈরীর ০৩টি মোবাইল ফোন, একাধিক পর্নোসাইড পরিচারনার ফেসবুক আইডি, ইমো, হুয়াটসএপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি এ্যাপস উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও মোবাইলে পরিচালিত একাধিক পযালোচনা ও ধারণকৃত শিশু অন্তরা আক্তার (১৫) এর পর্নো ভিডিও দেখে প্রতীয়মান হয় যে, আটককৃত আসামীগণ পেশাদার পর্নোগ্রাফি চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে নারী ও শিশু প্রলোভনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে পর্নোভিডিও তৈরী করে প্রচারসহ অন-লাইনে সেক্স সার্ভিস পরিচালনা করে অর্থ উপার্জন করে আসছে। এছাড়াও তারা নারী ও শিশু পাচারের সাথে জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মামলার বাদী যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম এজাহারে বলেছেন, আটক দুই আসামি ভিন্ন ধর্মের হলেও তারা বিবাহ বহির্ভূভাবে যশোর শহরের বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডের ডাক্তার এম বারীর বাড়িতে এক বছর যাবৎ স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে লিভটুগেদার হিসেবে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছে। এছাড়া তারা যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে নারী ও শিশু এনে তাদের দ্বারা যৌন ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করে আসছে।
আটক দুইজনসহ তাদের সহযোগী কয়েকজনের নামে বিথি আক্তার, ইমু সার্ভিস, ভেরিফাই ইমো ভিডিও কল সার্ভিস অডিও কল, লিমা খান, কাপলসো লেসবিয়ার সার্ভিস, নীলা রায়, অবন্তি দাস অনু এবং Eity akter sharmin সহ বিভিন্ন অ্যাপস্ এর মাধ্যমে অনৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ অবক্ষয়ের নিমিত্তে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এমন কিছু ভিডিও তৈরি করেছে। পাশাপাশি ওই গুলো তিনটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও টিকটকের মাধ্যমে প্রকাশ এবং প্রচার করে আসছে।