মানবপ্রেমী ভাই ও বোনেরা আপনি কেন অধিকার কর্মী কিংবা মানবাধিকার কর্মী হবেন?
আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে আমি কেন অধিকার কর্মী কিংবা মানবাধিকার কর্মী হবো? মানবাধিকার কর্মী কিংবা অধিকার কর্মী হয়ে বা আমার লাভ কি?
মানবাধিকার সংগঠন এ কাজ শুরু করার আগে আপনার মনে এরুপ প্রশ্বের উদ্ধেগ হওয়া স্বাভাবিক ।
আসুন এবার জানার চেষ্টা করি:
একজন মানবাধিকার কর্মীর কাজ কি? একজন অধিকার কর্মীর কাজ হলো সমাজের মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার নিয়ে কাজ করা, সমাজের প্রত্যেকটি মানুষ যেন তার প্রাপ্ত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করা।
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এ যেমন রাষ্ট্রের দায়িত্ব অনুরুপভাবে আপনারও দায়িত্ব। কেননা আপনিও তো রাষ্ট্রের একটি অংশ।
অধিকার কর্মী হতে কি কি গুণাবলী ও যোগ্যতা থাকা দরকার?
মানবাধিকার কর্মী হিসেবে কাজ করতে হলে আপনাকে প্রথমত দল, মত, জাতি, ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে মানবিক হতে হবে এবং কাজটি মন থেকেই নিতে হবে, যদি আপনি এ কাজকে মন থেকে ভালবেসে নির্দ্বিধায় করতে না পারেন তাহলে আপনি একজন ভাল মানবাধিকার কিংবা অধিকার কর্মী হতে পারবেন না।
আপনার সমাজ প্রতিবেশীর সুখে-দুঃখে, আনন্দ-বেদনায়, সময়ে-অসময়ে আপনি সার্বক্ষণিক ভাবে তার পাশে থাকেন। সেই প্রতিবেশীর মৌলিক অধিকারে যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠি হস্তক্ষেপ করে তা যেমন আপনি সহজ ভাবে মন থেকে মানতে পারেন না । আপনার সহজাত জাগ্রত বিবেক যেন আপনাকে নাড়া দেয়, মনের ভিতর থেকে কেমন যেন অস্বত্বি কাজ করে, কেন তার মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে?
আপনার বিবেক যেন আপনাকে তাড়া করে তার অধিকার সু-নিশ্চিত করার জন্য।
আপনার বিবেকের এ জাগ্রত তাড়না থেকেই হবেন আপনি একজন প্রকৃত মানবাধিকার কর্মী।
আপনি কি জানেন সমগ্র বিশ্বের মানবাধিকার কর্মীরা জাতিসংঘ কর্তৃক আন্তর্জাতিক অধিকার কর্মী হিসেবে স্বিকৃতি প্রাপ্ত?
আসুন জানার চেষ্টা করি:
জেনে রাখা দরকার,১৯৯৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক সমগ্র বিশ্বের মানবাধিকার কর্মীদের কে আন্তর্জাতিক অধিকার কর্মী হিসেবে স্বিকৃতি দিয়েছে।
আমাদের শ্লোগান:
“দল-মত, জাতি,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বের সকলেই মোরা একজাতি মানবজাতি একই ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে”।
আসুন আমরা মৌলিক অধিকার বঞ্চিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত অধিকার বঞ্চিত মানুষের জন্য বলি, মানবতার জন্য লড়ি,।
“জয় হোক সর্বস্তরে মানবিকতা, জাগ্রত হোক সর্বস্তরে মানবতা”।