দুমকি ও পবিপ্রবি( পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্বিবিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ মামুন অর রশিদ এ’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভাইস-চ্যান্সেলর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার প্রফেসর মোঃ আবদুল লতিফ।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম টিটোর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর মোঃ জামাল হোসেন, বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মোঃ মামুনুর রশীদ, প্রফেসর ড. মোঃ জিল্লুর রহমান, প্রফেসর ড. মোঃ হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ড. মোঃ সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার, প্রফেসর মোঃ আবুল বাশার খান, প্রফেসর ড. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন ও প্রফেসর ড. মোঃ মাসুদুর রহমান।
কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ রিয়াজ কাঞ্চন শহীদ। কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মোঃ মাহবুবুর রহমান। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন তানভীর আহমেদ, সোহেল রানা, ফিয়াদুল হাসান এবং বায়জিদ আহমেদ।
প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন এক অদম্য বীর, যিনি শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেননি, কৌশলগত পরিকল্পনায়ও রেখে গেছেন অনন্য অবদান।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় পরিচালিত হয় একের পর এক অভিযান। প্রতিটি যুদ্ধে তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব এবং অপরাজেয় মনোবল মুক্তিবাহিনীকে সাহস জুগিয়েছে। কামালপুরের প্রথম যুদ্ধ থেকে শুরু করে বিলোনিয়ার রক্তক্ষয়ী লড়াই, চিলমারীর দুঃসাহসী উভচর অভিযান কিংবা সালুটিকর বিমানবন্দর দখলের রোমাঞ্চকর যুদ্ধ—প্রতিটি বিজয়ে জিয়াউর রহমানের কৌশলগত বুদ্ধিমত্তা ও দূরদর্শিতা মুক্তিবাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।