স্টাফ রিপোর্টার আরফাত সিকদার
রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মনিরঝিল-সোনাইছড়ি ব্রীজ সংলগ্ন বিগত আওয়ামী সরকারের দাপটে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে গত ৭/৮ বছর যাবৎ বাকখালী থেকে বালি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে ফতেখারকুল ইউনিয়নের মন্ডল পাড়া গ্রামের সুমন এবং মধ্যম মনিরঝিল গ্রামের পাহাড় খেকো শহিদুল ইসলাম প্রকাশ শহিদুল্লাহ কোম্পানীদের প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।
সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মনিরঝিলের দূরত্ব মাত্র কয়েক কিলোমিটার। তাই অবৈধ ব্যবসার জন্য এ জায়গাটি বেছে নিয়েছে এই আওয়ামী প্রভাবশালী সিন্ডিকেটরা। সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয় রোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত যুগ যুগ ধরে এই মনিরঝিলবাসী একটি ব্রীজের অভাবে একপ্রকার দ্বীপে বসবাস করে আসছিল। দীর্ঘ বছর পরে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের সুপ্রচেষ্টায় ব্রীজটি পায়। এই ব্রীজটি আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন হতে না হতেই আওয়ামী প্রভাবশালী সিন্ডিকেট এর কু-নজরে পড়ে। শুরু হয় অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে এর চতুপার্শে খাল দখল। এই বালি উত্তোলনের কারনে এই ব্রীজের চারপাশ ভেঙ্গে বড় খাল হয়ে ব্রীজের উভয় পাশের রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। খবর পেয়ে গত বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় সাবেক সাংসদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এলজিইডি প্রকৌশলীসহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ব্রীজ ভাঙ্গন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রীজের পাশে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের কাজ তখনো চলামান এবং এলাকাবাসী প্রতিনিধিগণকে এ বিষয়ে অবহিত করলেও তারা অজ্ঞাত কারনে তা এড়িয়ে যান।
স্থানীয় লোকজনের তথ্যমতে, অবৈধ ড্রেজার মেশিনের খবর পেয়ে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাবা ফাহমিদা মোস্তফা মহোদয়ের উপস্থিতির খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে পাহাড়সম বালির স্থুপ সরিয়ে সেখানে বিভিন্ন ক্ষেত খামারের চারা রোপন করে ফেলে। ইউএনও চলে যাওয়ার সাথে সাথে পুনরায় বালি তুলা শুরু করে অদ্যবদি চলমান। ব্রীজের ক্ষয়-ক্ষতি হলে পুরো মনিরঝিল-সোনাইছড়িসহ এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ দ্বীপে বসবাস করতে হবে । এলাকাবাসী বাধা দিলে আওয়ামী সরকারের দলীয় প্রভাব দেখিয়ে হুমকী ধমকী দিয়ে আসছিলো। এলাকাবাসী জানায় এতদিন কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি। তাছাড়া শহিদুল্লাহ কোম্পানী গং এলাকায় দলীয় প্রভাব বিস্তার করে পাহাড় কাটাসহ সরকারী বনের গাছ কেটে সাবাড় করে ফেললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারনে চুপ হয়ে আছেন।
এলাকার হতদরিদ্র এক পরিবারের ঘরে বাড়ি ভাংচুর করে জোরপুব্রক বসতভিটে দখলের অভিযোগও রয়েছে কথিত শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গিয়ে এইসবের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় তাদের মুটুফোনে কথা বললে তারা তা অস্বীকার করে এবং তারা প্রশাসনকে মেনেজ করে এই অবৈধকে বৈধ করে ব্যবসা করছি এতে নিউজ করলেও আমার কিছু করার নাই বলে উত্তর দেন। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, খাল দখলবাদ, পাহাড় খেকোদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ পরিবেশ আইনে মামলা করার মাধ্যমে নিয়মিত নজরদারী বাড়ালে খাল, পাহাড়সহ বন ধ্বংশ করা বন্ধ হবে বলে মনে করেন তারা।