বাগেরহাটে দুই তরুনীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ মামলার অন্যতম প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গত ১৩ জানুয়ারি বিকালেদুই তরুণী তাঁদের চাচাতো ভাই ও তার বন্ধুর সাথে দুটি মোটরসাইকেল যোগে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় ঘুরতে যান।
রাতে সেখান থেকে ফেরার পথে বাগেরহাটের ফকিরহাট জারিয়া চৌমাথা এলাকায় গতিরোধক অতিক্রম করার সময় ছাত্রলীগ নেতা শাকিল সরদার এক তরুণীর ওড়না টেনে ধরলে তারা মোটরসাইকেল থেকে রাস্তার ওপর পড়ে যান।
বিষয়টি দেখতে পেয়ে অন্য মোটরসাইকেলে থাকা ভিকটিমের চাচাতো ভাই ও অপর তরুণী মোটরসাইকেল থেকে নেমে যান। মোটরসাইকেল থেকে নামার পর কোনো কিছু জানতে চাওয়ার আগেই আসামী শাকিল ও মেহেদী তাদের মারধর করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে আসামী শাকিল এক তরুণীকে প্রথমে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানের বেঞ্চের উপর এবং আসামী মেহেদী অপর ভিকটিম তরুণীকে আধাপাকা টিন সেড দোকানের পিছনে বাগানে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে রাত ৩টা ২০ মিনিটে দ্বিতীয় দফায় আসামী মেহেদী ভিকটিম তরুণীকে চায়ের দোকানের বেঞ্চের উপর এবং তৃতীয় দফায় আসামী শাকিল অপর তরুণীকে জাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন ।
এ সময় আসামী শাকিল ও মেহেদী বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা টাকা এবং স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেন। আসামীদ্বয় ঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে ভিকটিমের বন্ধুসহ তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে ভিকটিম তরুণী বাদী হয়ে উক্ত জঘন্য ও নিকৃষ্ট কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় গণধর্ষণের মামলা দায়ের করে।
ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গত ১৬ জানুয়ারি রাতে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন ভাটিয়াপাড়া গোলচত্তর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গণধর্ষণ মামলার অন্যতম প্রধান আসামী মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গণধর্ষণ এর সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।