নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে প্রেম প্রস্তাব দেয় এলাকার বখাটে যুবক। ঐ প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায়, তার বাড়িতে হামলা ভাঙ্গচুর সহ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেয় কিশোর গ্যাং লিডার মো. জনি ইসলাম সহ ৮/১০ জন।
এ ঘটনায় রূপসা থানায় অভিযোগ দায়ের। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়- রূপসা উপজেলার ৩নং নৈহাটী ইউনিয়নের জয়পুর গ্রাম (এ্যাকটেল টাওয়ার) পাশে বসবাস করে মো. আকরাম শেখ। তাঁর মেয়ে বাগমারা শামসুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ে। তাকে প্রেমের কুপ্রস্তাব দিয়েছিল একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জনি ইসলাম (২৫)।
সে ঐ প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাতে গত ২৯ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বাড়ীর সামনে মেয়েকে দেখতে পেয়ে জনি জোরপূর্বক মোবাইল নম্বর নিতে চাচ্ছিল। এমন সময় পিতা এসে কারণ জানতে চাওয়ার মধ্যে, জনি ইসলাম ক্ষিপ্ত বুঝতে পেরে মেয়েকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যায়।
তার পরই কোন উত্তর না দিয়ে জোরপূর্বক টিনের বেড়া ভেঙ্গে ও সামনের পাচিল টক্কিয়ে রনি শেখ (২৯), রেশমা বেগম (৩৮), তানিয়া বেগম (৩৫) সহ ৮/১০ জন সংঘবদ্ধ প্রবেশ করে। পিতা আকরাম শেখ ও তাঁর স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজের মধ্যে, হাতে থাকা রড দিয়ে তাঁর স্ত্রী এবং ৭ বছর বয়সের কন্যাকে পিটিয়ে আহত করে।
রনি শেখ ছুরি দিয়ে কোপ মারে আকরাম শেখকে। এতে হাতের আঙ্গুল কেটে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে পড়লে, সন্ত্রাসীরা ঘরে প্রবেশ করে ৫ ভরি স্বর্ণ, নগদ ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা ও ২টি স্যামসাং মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় আকরাম শেখের চিৎকারে লোকজনকে আসতে দেখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে লোকজন দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
পিতা মো. আকরাম শেখ বলেন- আমি নিরুপায় হয়ে মেয়েকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। তারপর থেকে রাতের আধারে প্রায়ই বাড়ীর আশপাশে চকলেট বাজি ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির মধ্যে বসবাস করতে হয়।
কিশোর গ্যাং লিডার জনি ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৯ মার্চ দুপুরে বাড়িতে হামলা করে বৃদ্ধ মাতা সহ পরিবারের সকলকে মার-ধর এবং ঘরে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার,২টি মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ায় রূপসা থানায় অভিযোগ দায়ের করি।