প্রতারণার মামলায় আত্মসমপর্ণ করে জামিন পেলেন ইভ্যালির রাসেল
চেক প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে মামলার বাদী জামিনের বিরোধিতা না করে আপসের শর্তে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রাসেলের জামিন মঞ্জুর করেন। একই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন আদালতে হাজির হননি।
একই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি রাসেলের স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন আদালতে হাজির হননি।
দুই দিন আগে গত সোমবার আদালতে হাজির না হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত রাসেলের ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
২০২১ সালের ১৩ মার্চ মামলার বাদী তানভীর হোসেন বিজ্ঞাপন দেখে একটি মোটরসাইকেল কেনা বাবদ দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। তবে নির্দিষ্ট ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হন। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি পণ্যের সমমূল্যের একটা চেক প্রদান করেন। এরপর চেকটি নগদায়নের জন্য একাধিক ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়।
এ বিষয়ে গত বছরের ২২ অক্টোবর তাদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। পরে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শামীমা নাসরিন ও মো. রাসেলের বিরুদ্ধে বাদী মামলা করেন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরুর পরপরই কম দামে পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে সাড়া ফেলে অনলাইন মার্কেট প্লেস ইভ্যালি। তবে অর্থ দিয়েও পণ্য না পেয়ে গ্রাহকদের অসন্তোষ বাড়তে থাকে। গ্রাহকদের পণ্য দেওয়ার জন্য জাল চেক এবং প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অভিযোগে সারাদেশে প্রতিষ্ঠানটি ও এর মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে কয়েক শতাধিক মামলা করা হয়।
অভিযোগ বাড়তে থাকার মধ্যে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর শামীমা জামিনে মুক্তি পেলেও আটকে যায় রাসেলের মুক্তি। পরে রাসেলও কারামুক্ত হন।