দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ একথা জানান।
তিনি জানান, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
ইসির উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সম্ভব সকল আইনানুগ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার জন্য সার্বিক প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও বলা হয়, ভোটগ্রহণের পূর্বে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে বাংলাদেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় আগামী ২৯ ডিসেম্বর হতে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হবে মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে নির্বাচনের কয়েকদিন পূর্ব হতে নির্বাচনী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রতি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ছোট আকারের একটি করে অগ্রবর্তী টিম পাঠানো যেতে পারে।
ইসি আরও জানায়, ফৌজদারী কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনে বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত Instruction Regarding Aid to the Civil Power এর ৭ম ও ১০ম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত হবে। মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী কাজে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শে ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে।
বেসামরিক প্রশাসনকে যেভাবে সহায়তা করবে
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে।
রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণকে মোতায়েন করা হবে।
সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে এলাকাভিত্তিক Deployment Plan চূড়ান্ত করা হবে।
ভোটগ্রহণের দিন, তার আগে ও পরে কার্যক্রম গ্রহণ ও মোতায়েনের সময়কালসহ বিস্তারিত পরিকল্পনা অবহিত করতে হবে।
বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে চাহিদামত আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।