প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ১৯৮১ সালে দিবসটি পালন শুরু হয়, পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ হতে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (২৫ নভেম্বর-১০ ডিসেম্বর) ২০২৪ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সে প্রেক্ষিতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে “পারিবারিক আইনে সমতা আনি, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ ৫ ডিসেম্বর সকালে কেএমপি’র বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্সে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার।
পুলিশ কমিশনার তাঁর বক্তব্যে বলেন, নারী নির্যাতন রোধ শুধু নারীর বিষয় না, এটা পরিবার ও সমাজের বিষয়। যেকোনো সমাজের জন্য জেন্ডারবেজড ভায়োলেন্স একটা জটিল বিষয়। সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অবদান ও অগ্রগতি দৃশ্যমান হলেও নারী ও কন্যার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হচ্ছে না, যা গভীর সংকট তৈরি করেছে। এ ব্যপারে সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বিশেষ করে উত্যক্তকরণ, যৌনহয়রানি, সাইবার অপরাধ, ধর্ষণসহ সব ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। সর্বোপরি বিদ্যমান আইনে নারী ও কন্যা শিশুর সুরক্ষার যে সকল বিধান রয়েছে তার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স, অতিঃ দায়িত্বে ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ এবং নারী পুলিশসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত