ক্রাইম রিপোর্টার: মোঃ আকাশ ইসলাম
রাজশাহী দূর্গাপুরে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার দূর্গাপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও দূর্গাপুর দূর্গাপুর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি (সাবেক) জীবন আলী সবুজ (কোরবান) এর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে তথ্য সংগ্রহ কালে হামলা করেছে দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ডাঃ আশিকুজ্জামান রাসেল। এসময় শারীরিক ভাবে তাকে লাঞ্চিত করা হয়। হাসপাতালের অব্যবস্থা নিয়ে ভিডিও সংগ্রহ করার সময় সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নেন। আহত সাংবাদিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানাগেছে।
জানাযায়, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) হাসপাতালের ৩ নম্বর কক্ষে রুগী ভিজিট করছিলেন ডাঃ আশিকুজ্জামান রাসেল এসময় একটি অনলাইন পোর্টাল দৈনিক দেশ বুলেটিন ও রাজশাহীর স্থানীয় দৈনিক উপচার পত্রিকার সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম টিকেট কেটে তাকে দেখাতে গেলে ডাক্তারের ব্যক্তিগত নিয়োগকৃত দালাল মোসলেম আলী তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।
এসময় সাংবাদিক জীবন আলী সবুজ (কোরবান) উপস্থিত হয়ে মোসলেম আলীর পরিচয় সম্পর্কে জানতে চান।এবং তাঁর ভিডিও ধারণ করতে শুরু করলে উপস্থিত ডাক্তার তার চেয়ার থেকে উঠে এসে সাংবাদিক জীবন আলী সবুজ (কোরবান) এর উপর হামলা চালিয়ে তাকে লাঞ্চিত করেন। এবং তার ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে দেন। ডাঃ আশিকুজ্জামান রাসেল দাম্ভিকতার সাথে নিজেকে শিবিরের সাবেক সভাপতির পরিচয় দেন এবং বলেন তোর হাত পায়ের রগ কেটে দিবো,তোকে মেরে টুকরো টুকরো করে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিবো।তোর মত হাজার হাজার সাংবাদিক আমি পকেটে রাখি। এঘটনার পরে ডা: আতিকুজ্জামান রাসেল টিএইচওর অফিস কক্ষে আবারও অকট্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন।
সাংবাদিক কোরবানের উপর হামলার ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দূর্গাপুর সাংবাদিক সমাজ ও দূর্গাপুর প্রেসক্লাবের কর্মরত সাংবাদিকরা। দূর্গাপুর প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমাজের আহ্বায়ক এসএম সাহাজামাল ও সদস্য সচিব হাসিবুর রহমান উক্ত হামলার তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। এঘটনায় ডাক্তার আতিকুজ্জামান রাসেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয়ে দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেরের পরিবার পরিকল্পনা অফিসার (টিএইচও) ডাঃ রুহুল আমিনকে তাৎক্ষনিক অভিযোগ করলে তিনি বলেন, ডাঃ আশিকুজ্জামান আমার বন্ধু হয়। আমি বিষয়টি দেখছি।
এবিষয়ে দূর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দুরুল হোদা কে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি জানান বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে মোবাইন ফোনে জানানো হয়েছে। এব্যাপারে ইউএনও মহোদয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সাবরিনা শারমিন বলেন, বিষয়টি ওসি সাহেব আমাকে অবগত করেছেন। আমি আগামীকাল নিজে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জেন আবু সাইদ মোহাম্মাদ ফারুক বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে অবগত হয়েছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।