দুমকি উপজেলা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর জেলার দুমকী উপজেলায়, দক্ষিণ দুমকি গ্রামে ৭ম শ্রেনিতে পড়ুয়া ছাত্রীর আট মাস আগে ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুলাল খন্দকার (৩৭) নামের প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। পরে দুমকি থানায় মামলা, র্যাব কর্তৃক আটক দুলাল। সাংবাদিকদের দেয়া এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে এর বিচার চেয়ে আইনি সহায়তা চেয়েছে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী।
অভিযুক্ত দুলাল খন্দকার উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বারেক খন্দকারের ছেলে। সে ৩ সন্তানের জনক। এ ঘটনা জানাজানি হলে গা ঢাকা দিয়েছেন সে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী সাংবাদিকদের জানায়, অভিযুক্ত দুলাল জাল, টেটা, বা চল দিয়ে মাছ ধরতে তাদের ঘরের কাছে এসে মোবাইলে নীল সিনেমা চালু করে দিয়ে যেত এবং বিভিন্ন ছলছুতায় তাদের বাসার আশেপাশে ঘুরঘুর করতো। গত শ্রাবণ মাসের ৩য় দিন হঠাৎ বৃষ্টি নামে এসময় কিশোরীর অন্ধ, বৃদ্ধ দাদী পাশের ঘরে পান আনতে যায়। তাকে ঘরে একা পেয়ে দুলাল জোর করে চেপে ধরে ছবি তোলে ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনা কাউকে জানাতে চাইলে বাবা, দাদী, চাচা ও তাকে হত্যা করবে এমন হুমকি দিয়ে চলে যায়। ভয়ে কিশোরী এ নিয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্ত দুলাল কিশোরীর গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। বর্তমানে সে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিশোরীর বাবা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, মেয়েটির মা নেই, ওর বৃ্দ্ধ দাদী কানে শোনে না এবং চোখে দেখে না। আমি পিতা কবির গাড়ি চালাই, বাইরে থাকি। এ সুযোগ নিয়ে দুলাল আমার মেয়ের যে ক্ষতি করেছে তার উপযুক্ত বিচার চাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুমকী থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মোহাম্মদ হান্নান বলেন দুমকি থানায় মামলা হয়েছে। আসামী দুলালকে র্যাব কর্তৃক আটক করে কোটে প্রেরণ করা হয়েছে।