শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।
বৃহস্পতিবার ১৯সেপ্টম্বার সকাল ১১টায় ডুমুরিয়া উপজেলা মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন, বক্তব্য দেন ডুমুরিয়া উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এস এম আশরাফ হোসেন, ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল কবির, ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার কাজল মল্লিক, ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মুহা: রবিউল ইসলাম,ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুবকর সিদ্দিক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সপেক্টর মোঃ মনির হোসেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বিশ্বাস, ম্যাধমিক শিক্ষা অফিসার দিবাশীষ মন্ডল, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা প্রতাব চন্দ্র দাস, ডুমুরিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অঞ্জু দাস, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ শামছুজ্জামান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী প্রশান্ত পাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোঃ হুমায়ুন কবির,
ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন, খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডুমুরিয়া জোনাল অফিসের এজি এম আব্দুস সালাম, চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ূন কবির বুলু, শেখ হেলাল উদ্দিন,মাহাবুবুর রহমান, শেখ দিদার হোসেন, তুহিন,মোঃ হেলাল উদ্দিন রফিকুল, বি এ ডিসির প্রকৌশলী হাফিজ ফারুক,সহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য আবহাওয়াসংক্রান্ত দুর্যোগের ঘটনার পরিমাণ ও তীব্রতা বাড়ছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে বড় বড় দুর্যোগে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেমন ১৯৮৮ সালের বন্যায় প্রায় এক কোটি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
২০০৭ সালের বন্যা ও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রায় সোয়া কোটি মানুষ। ক্ষেতের ফসল, বাড়িঘর, গবাদি পশু, গাছপালা—সবই ধ্বংস হয়ে যায়। ভেঙে পড়ে দেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি। ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে প্রাণ হারায় প্রায় দেড় লাখ মানুষ। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩২০ কোটি ডলার বা ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২.২ শতাংশ।
বিগত ২০ বছরে বিশ্বের যে ১০টি দেশ সবচেয়ে বেশি দুর্যোগে আক্রান্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ নবম। যখন এই লেখাটি লিখছি, তখন সিলেট, সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত। অসংখ্য মানুষ বিপত্সীমায়।
সরকারি ও বেসরকারিভাবে অনেকেই ত্রাণ তৎপরতায় যুক্ত হয়েছেন। বন্যাকবলিত এসব মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ বা যারা দিন আনে দিন খায় তারা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে এই বন্যার প্রভাবে। এমন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ।