শেখ মাহাবুব আলম, বিভাগীয় প্রধান খুলনা
রেমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি, প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবচিহ্ন। ঘরবাড়ি ভেঙে তৈরি হয়েছে বিধ্বস্ত অবস্থা। কোথাও কোথাও গাছপালা উপড়ে বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। দুর্বল বাঁধের কারণে ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগেই বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে জলোচ্ছ্বাসে। ঝোড়ো হাওয়ায় গাছপালা ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়েছে ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা। ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ। ভেসে গেছে হাজার হাজার চিংড়ি ঘের। সোমবার (২৭ মে) ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত উপকূলের বিভিন্ন এলাকা ঘরে এ চিত্র দেখা গেছে।
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে উপকূলগুলোর যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা এখন। দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান হচ্ছে সেইসব ক্ষতচিহ্ন। গাছপালা উপড়ে বন্ধ রাস্তাঘাট। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বেশিরভাগ এলাকা। ঘূর্ণিঝড়ের আগেই প্রাণে বাঁচাতে দেশের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে স্থান নেয় ১০ লাখের বেশি মানুষ।
এদিকে, বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ও জলোচ্ছ্বাসে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া, নদী ও সাগরের পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। বাতাসের গতিবেগ ঠেকে ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটারে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি বসত ঘরের উপর গাছ পড়েছে। রাতে জলোচ্ছ্বাসে পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মাছের ঘের। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালে খুলনা,সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বরিশাল ও ভোলা ও চট্টগ্রামে ৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া, মোংলায় ট্রলার ডুবে নিখোঁজ রয়েছে আরও দুই জন।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবনের বহু এলাকা অস্বাভাবিক জোয়ারে দশ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বন্যপ্রাণী নিয়ে চরম শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বন্যপ্রাণীদের বিশেষ করে হরিণ, শুকর ও বাঘ শাবকদের ভেসে যাওয়া নিয়ে মারাত্মক উদ্বিগ্ন রয়েছে বন বিভাগ। এরইমধ্যে বন সংলগ্ন এলাকায় ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের (ভিটিআরটি) সদস্যদের মাঝে সতর্কতাও (এলার্ট) জারি করা হয়েছে।