স্টাফ রিপোর্টার
টুঙ্গিপাড়া ১১ নম্বর দক্ষিণ বর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার গণিত প্রশ্ন ফাঁস করে বিক্রি করায় ইমাম হোসেন টুটুল নামের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র হালদার স্বাক্ষরিত আদেশে এ বিষয় জানানো হয়।
ইমাম হোসেন টুটুল টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের ১১ নম্বর দক্ষিণ বর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
এ প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে একজন অভিভাবক অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারুকারু পরীক্ষা শেষ হয়। এরপর শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুল তার মোবাইল নম্বর কাগজে লিখে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে অভিভাবকদের ঐ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন। আমরা কয়েকজন অভিভাবক ঐ নম্বরে যোগাযোগ করি। তখন ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে গণিত প্রশ্ন পাওয়া যাবে বলে ঐ শিক্ষক আমাদের প্রস্তাব দেন।’
এ বিষয়ে আরেক অভিভাবক বলেন, শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমিসহ কয়েকজন টাকা দিলে পরীক্ষার আগের দিন সন্ধ্যায় (২৫ নভেম্বর) গণিত প্রশ্ন দেন ঐ শিক্ষক। এ সংক্রান্ত কয়েকটি কল রেকর্ড টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাংবাদিকদের কাছে আমরা পাঠিয়ে দেই।
এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন আমরা ২৫ নভেম্বর রাতেই টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল-মামুন ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাই। কর্মকর্তাদের পরামর্শে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার গণিত প্রশ্ন পরিবর্তন করা হয় বলে আমরা জানতে পারি।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, গত ২৬ নভেম্বর (রোববার) নতুন প্রশ্নে ৩ নম্বর ক্লাস্টারের ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। ওই ৩ নম্বর ক্লাস্টারভুক্ত ২৬টি বিদ্যালয়ে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছিল।
ঐ কর্মকর্তা আরও বলেন, পরীক্ষার পর ইউএনও ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিক তদন্তে প্রশ্ন বিক্রির সত্যতা মিলেছে। তাই সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ধারা ২০১৮ এর ৩ (বি) ধারায় অভিযুক্ত করে শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুলকে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।