মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত পূর্বের রেস ধরে মৃত: আব্দুল অহিদ শেখের ছেলে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সাবেক সদস্য আসলাম শেখ, তার মেয়ে ও তার স্ত্রীর উপর হামলা চালায় তারই ভাই এস, এম দবির শেখ ছেলে ওমর ফারুক ও বড় ভাই মোস্তফা। হামলায় গুরুতর আহত হন আসলামের পরিবার। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় ভুক্তভোগীর সংসারে ৩ মেয়ে, সম্পত্তি রক্ষা করার কেউ না থাকায় এরূপ কর্মকাণ্ড করছে দবির, ছেলে ওমর ফারুক ও বড়ভাই মোস্তফা সম্পত্তির লোভে।
দবির, ওমর ফারুক ও মোস্তফার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পরিবারের নিরাপত্তার লক্ষ্যে তিনি সাতধারা মামলা ও জায়গার উপর ১৪৪ ধারার ২টি মামলা দায়ের করেন গোপালগঞ্জ আদালতে। জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, গোপালগঞ্জ এর মিস পিটিশন নং ৬৭৩/২০২৪ নং মিস পিটিশন মোকদ্দমাভুক্ত বিরোধীয় ৩৩ নং ঝনঝনিয়া মৌজার বি. আর. এস. ১৬৬৫ নং খতিয়ানের এস. এ. ১৫৫৮বি, আর, এস, ৮৫৮৫ নং দাগের ৪০ শতক, এস. এ. ১৫৫৮বি. আর. এস. ৮৫৮৮ নং দাগের ৫৪ শতক, বি. আর. এস. ৮৬০৬ জমির পরিমাণ ৫৪ শতক, ৫৯ নং খতিয়ানের বি. আর. এস. ৮৬১৬ নং দাগের ৫৩ শতক, বি. আর. এস. ৮৬২০ নং দাগের ২৬ শতক একনে ২২৭ শতক ভূমি উভয় পক্ষকে উপস্থিত রেখে মামলার তদন্ত চলাকালীন সময়ে তদন্তকারী কর্মকর্তার উপর হামলা সহ আসলামের মেয়ে ও তার পরিবারের লোকজনদের মেরে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে তদন্ত রিপোর্টে ঘটনাস্থলে ঘটা সকল বিষয় সুস্পষ্ট উল্লেখ্য করা আছে।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগী আসলাম শেখের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সেনাবাহিনীর সাবেক একজন সদস্য আমার গ্রামের বাড়ির সম্পত্তির জোর দখল করে ভোগ করতে চায় এস এম দবির ও তার ছেলেরা। তিনি আরো বলেন আমার ভাই দবির ২০০৫ সালে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে র্যাব-এর হাতে তাজা বুলেট সহ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন।
এছাড়াও সে ইন্ডিয়ান বর্ডার এ অবৈধ শাড়ি, থ্রিপিস ব্লাকের ব্যবসা করার সময় ধরা পড়ে দেড় মাস কারাগারে ছিলেন। আরো বলেন, গন্ডগোলের দিন আমার বড় ভাই মোস্তফা সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিল। যার ভিডিও ও ছবি মোবাইলে ধারণ করা আছে, দবির চক্রান্ত করে বড় ভাই মোস্তফার দাঁত উঠিয়ে আমাদের নামে একটি মামলা দায়ের করেছে, মোস্তফার দেওয়া মামলার বিষয়টি গুরুত্ব দান সহ আমার সকল বিষয় নজরে এনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।