মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জের পাইককান্দি ইউনিয়নের ঘোড়াদইড় এলাকায় ১৮ ডিসেম্বর আনুমানিক বেলা ১১.৩০ মিনিটে এ হামলা ও লুট হয়। একই এলাকার রবিউল ভুইয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী জোর পূর্বক অন্যের জমি দখল করে গাছ কাটার সময় প্রকৃত জমির ভগিদার বাধা দেয় । ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে বাড়িঘর দোকানপাট লুট করে নিয়ে যায়। হামলায় একই পরিবারে আকবর ভূইয়া স্ত্রী রূপসা বেগম ও ছেলে রিফাত সহ গুরুতর আহত আরো ২ জন।
এ ব্যপারে আকবরের স্ত্রী বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। রুপসা বেগম অভিযোগে সূত্রে পাওয়া যায়, পূর্বের শত্রুতার জের ধরে আমাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের গালি-গালাজ ও হুমকি দেয়। আজ আমার কেনা জমি আসামীগন পরিষ্কার করতে থাকে এবং আমার জমিতে আমার লাগানো গাছ-পালা কেটে ফেলে আমি জানতে চাইলে ওরা ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে গালি-গালাজ করতে থাকে।
আমি বাঁধা দিলে রবিউল ভূইয়া উত্তেজিত হয়ে আমাদের উপর তার দলবল নিয়ে লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে। রূপসা বেগমের অভিযোগে আরো পাওয়া যায় রবিউল ভূইয়া তাকে রামদা দিয়ে কোপ দিলে তার ছেলে ঠেকাতে গিয়ে মাথায় কোপ লেগে গুরুতর আহত হয়। ওরা তার স্বামী ও ভাসুরকে ব্যাপক মারধর করে। সন্ত্রাসীরা বাড়ির ভিতরে ঢুকে মহিলাদের মারধর করে সেই সাথে আমাদের ঘরে থাক ধান-চাউল, সোনা দানা লুট করে নিয়ে যায়। এসব করেও ওরা শান্ত হয় নাই, ওরা দুটি দোকানে ভেঙ্গে ফেলে দোকানে থাকা সকল মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ওরা হুমকি দিয়ে যায় বাড়া বাড়ি করলে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্বদাতা রবিউলের স্ত্রী নুর জাহান এলাকায় বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত। এলাকার সকল মাদক সেবিরা তার কথায় সকল অপকর্ম সাধন করে থাকে। এই রবিউলের নামে পাইককান্দি ইউপি পরিষদে এমদাদ নামক এক ব্যক্তিকে পুড়ানো হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।
তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বে থেকেই একাধিক মামলা রয়েছে। রবিউলের সাথে জড়িত হামলাকারীরা এখনও এলাকায় ঘুরাঘুরি করছে। বিভিন্ন ভাবে ওরা আকবরের পরিবারের সদস্যদের উপর ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে হামলাকারী রবিউলের ছেলে জয়, আশিক, শামীম , ইসমাইল, মতি ও মতলেব। এই সকল সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান এলাকাবাসী।