খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরে আয়েশা নামের তিন বছরের শিশুকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে দুর্বৃত্ত্বরা।মূমুর্ষূ অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)বেলা ১১টার দিকে দৌলতপুর দেয়ানা দক্ষিণপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে।মৎস্য ঘেরকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্র“তার জেরধরে এঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় মূমুর্ষূ শিশুটির নানা দৌলতপুরের দেয়ানা দক্ষিণপাড়ার মোঃ নজরুল সরদার বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুরের দেয়ানা তালুকদার সড়কের মাথায় জমি হারি নিয়ে একটি মৎস্য ঘেরে মাছ ও ধান চাষ করেন নজরুল সরদার। নিষেধ অমান্য করে তার মৎস্য ঘেরে প্রায় সন্দেহজনক যাতয়াত করতো দেয়ানা দক্ষিণপাড়ার সরো গাজীর ছেলে মোঃ চাঁন(২২)
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘেরে যায় মোঃ চাঁন।মৎস্য ঘেরে আসার কারণ জানতে চেয়ে, তাকে চলে যেতে বললে প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সে। অহেতুক বাক-বিতর্কের একপর্যায়ে মোঃ চাঁন মৎস্য ঘের মালিক নজরুল সরদারকে নির্বংশ করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। ঘেরে কাজ শেষে বেলা ১১টার দিকে নজরুল সরদার তার নাতনী আয়েশাকে ঘাড়ে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পথে ওৎ পেতে থাকা মোঃ চাঁন অতর্কিত হামলা চালিয়ে শিশু আয়েশার মাথায় সজোরে আঘাত করে। স্থানীয় লোকজনের সামনে নজরুল সরদারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায় মোঃ চাঁন। রক্তাক্ত মূমুর্ষূ অবস্থায় আয়েশাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাৎক্ষনিক চিকিৎসা দেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আয়েশার মাথায় মারাত্মক আঘাত করা হয়েছে। তার মাথায় ১২টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এখনো শঙ্কামুক্ত নয়,৭২ঘন্টা না গেলে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ পেয়েছি; তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।