খুলনায় অভিভাবকদের অজান্তেই শিশু-কিশোররা কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ছে।
খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির ফেব্রয়ারি মাসের সভা আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) সুশান্ত সরকার জানান, পিতামাতা ও অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখার বিষয়ে যত্নশীল হওয়া উচিত। সন্তানরা কোথায় যায়, কাদের সাথে মেশে এ বিষয়টি নিয়মিত নজরদারি করা প্রয়োজন। অভিভাবকদের অজান্তেই শিশু-কিশোররা অনেক সময় কিশোর গ্যাং এর সাথে জড়িয়ে পড়ে। চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গেলে দেখা যায়, চুরির পেছনে অনেক সময় মাদক ও জুয়ায় অর্থের যোগানের বিষয়টি জড়িত থাকে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার রুবাইয়াত সানজিদ হোসেন সভায় জানান, নগরীর ফুটপাত থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। এছাড়া মাদক ও কিশোর গ্যাং এর বিরুদ্ধে অভিযান এবং তরুন-কিশোরদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক মোটিভেশনাল কার্যক্রম অব্যাহত আছে। নগরীতে যানজট নিয়ন্ত্রণে অবৈধ ইজিবাইক ও ইঞ্জিন চালিত রিক্সা বন্ধে পুলিশের গৃহীত উদ্যোগের ফলে নগরীর যানজট পরিস্থিতির বহুলাংশের উন্নতি হয়েছে। চুরি বন্ধে স্থাপনা সমূহে সিসি ক্যামেরা স্থাপন বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন সভায় জানান, অনেক সময় বিভিন্ন অসুখের জন্য সাধারণ মানুষ ওষুধের দোকান থেকে এন্টিবায়োটিকের মতো ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কিনে নিজে নিজেই সেবন করেন। আবার অনেক সময় ওষুধের দোকনদাররাও ডাক্তার না হয়ে রোগীদের নানা ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করেন। এগুলো বন্ধে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া দরকার। দেশের মানুষের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গুরুপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সভায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।