খাস জমি কি ? খাস জমি বন্দোবস্ত সংক্রান্ত নীতিমালা কি এবং কিভাবে খাস জমি বন্দোবস্ত পাবেন?
অ্যাডভোকেট জাকিয়া মিম চৌধুরী
যে জমিগুলো কালেক্টরের নামে রেকর্ড থাকে সেগুলোই খাস জমি।
যে জমিগুলো সাধারণত সরাসরি সরকারের মালিকানাধীন থাকে সেগুলো খাস জমি হিসেবে পরিচিত। অর্থাৎ যে জমিগুলো কালেক্টরের নামে রেকর্ড থাকে সেগুলোই খাস জমি।
জেলা প্রশাসক বা ডিসি যখন জমি জমার বিষয়ে কাজ করেন তখন তাকে কালেক্টর বলে। অন্যন্য সংস্থার জমি সরকারের মালিকানায় থাকলে তাকে খাস জমি বলা হয় না। কারণ জমিগুলো যে সংস্থার মালিকানায় থাকে সেই সংস্থার জমি বলেই ধরা হয়-যেমন রেলের জমি।
খাস জমির কোনো ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হয় না কিন্তু সংস্থার জমির জন্য ভূমি উন্নয়ন করে দিতে হয়।
আইনে বলা আছে, কোনো জমি যদি সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকে ও সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে সেইগুলোই খাস জমি। সরকার এজমিগুলো বন্দোবস্ত দিতে পারেন।
১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন অ্যান্ড টেনান্সি এক্টের ৭৬ ধারায় খাস জমির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। উক্ত ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো ভূমি যদি সরকারের হাতে ন্যস্ত হয় এবং সেই জমিগুলি যদি সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে তাহলে সরকার,এই ভূমিগুলি সরকার কর্তৃক প্রণীত পদ্ধতি অনুযায়ী বন্দোবস্ত দিতে পারেন, অথবা অন্য কোনো ভাবে ব্যবহার করতে পারেন, সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন উপরোক্ত ভূমিগুলিকে খাস জমি হিসাবে বুঝাবে। খাস ফার্সি শব্দ। এর অর্থ একান্ত আপন বা নিজস্ব বা নিজের।
মুঘল আমলে খালিসা ও জায়গির- এই দুই ধরনের জমি ছিল। মোগল সম্রাট খালিসা জমি নিজেই নিয়ন্ত্রণে রাখতেন।
এই জমি সম্রাটের ইচ্ছানুযায়ী জায়গির দেওয়া হতো। সম্রাটের ব্যক্তিগত খরচ মেটানো জন্য কিছু আলাদা করে রাখা হতে যা সির্ফ-ই-খাস বা একান্ত নিজের হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
সম্রাট সাধারণত উর্বর জমি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতেন। ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্র কাননে বাংলা বিহার উড়িষ্যার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পতনের পর এদেশে ইংরেজ শাসন কায়েম হয়। ইংরেজরা ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করে।
চিরস্থায় বন্দোবস্ত ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর জমিদাররা কিছু জমি সরাসরি তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতেন। এগুলোকে তারা খাস জমি বলতেন। ১৯৫১ সালে জমি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন জারির পর জমিদারী উচ্ছেদ করা হয়।
এ আইনে জমিদারদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে রেখে বাকি জমি সরকারের কাছ অর্পন করার আদেশ দেওয়া হয়। এই জমিগুলোই পরবর্তীকালে কালেক্টরের ১ নং খাস খতিয়ানে নেওয়া হয় যা খাস জমি হিসেবে পরিচিত।
কালেক্টর ছাড়া অন্যান্য সংস্থার নামের রেকর্ডির খাস জমি হিসেব পরিচিত। ভূমিহীন ব্যক্তিরা খাস জমি বন্দোবস্ত পাবার অধিকারী।
🇧🇩 আপনার প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন:🇧🇩
অ্যাডভোকেট জাকিয়া মিম চৌধুরী, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ঢাকা। এলএলবি (অনার্স), এলএলএম, অ্যাসোসিয়েট ( ড. খালেদ এইচ. চৌধুরী অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস বিরোধ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, DMS), স্থায়ী ঠিকানা : কালিয়া,নড়াইল। চেম্বার ঠিকানা :১১/১, কলাবাগান ১ম লেন, শহীদ আব্দুল মতিন রোড, ঢাকা-১২১৬, বাংলাদেশ।
চেম্বার -২ : রুম নং ৩০২০ (২য় তলা) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যানেক্সি ভবন রমনা, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।মোবাইল: +88 01737 386689 ই-মেইল: jakiamimchowdhury@gmail.com
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ মামুন হাচান। মফস্বল সম্পাদক: শেখ মাহাবুব আলম। বার্তা সম্পাদক: এম এম হাচান। উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান। সহকারী বার্তা সম্পাদক: চৌধুরী জুয়েল রানা। খুলনা অফিস: মুজগুন্নী খালিশপুর খুলনা। নড়াইল অফিস: নড়াগাতী থানা পূর্বপাড় বাজার, নড়াগাতী, নড়াইল যোগাযোগ: 01728-060690, 01933-200080, 01715422025 , ইমেইল: naragatirsangbad@gmail.com
Copyright © 2024 নড়াগাতীর সংবাদ. All rights reserved.