শেখ বাদশা বাগেরহাট প্রতিনিধি
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৮.৪৫ সময় স্থানীয় এক মহিলা বাগেরহাট খান জাহান আলী মাজার পুকুর একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। পরে স্থানীয় লোকের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ অজ্ঞাত মৃতদেহ পানি থেকে উত্তোলন করে। মৃতদেহ টির পরিচয় সনাক্ত না হওয়ায় পিবিআই বাগেরহাট পুলিশকে বিষয় টি অবগত করা হলে পিবিআই ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ টি সনাক্তের উদ্দেশ্য আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণ করে। এর মধ্যে মৃতদের আত্মীয় স্বজনরা এসে মৃতদেহ সনাক্ত করেন।
পুলিশ সুপার আবদুর রহমান এর সার্বিক তত্বাবধানে এসআই কমলেশ এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম ছায়া তদন্ত অব্যহত রাখে। তদন্ত টিম শহরের বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি মোঃ ইউসুফ (৩৬) কে ঢাকার দারিস সালাম প্রিয়াঙ্গন আবাসিক এলাকা থেকে পিবিআই মেট্রো উত্তর ও পিবিআই হেডকোয়ার্টার এর সহায়তায় গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ রাতে গ্রেফতার করা হয়। একই রাতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোঃ শামসুল হক মুম্সি শামসু (২৬) এর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩২) কে ভিক্টিমের অটোরিকশাসহ গ্রেফতার করে। তারা সকলেই চিতলমারী থানার বাসিন্দা।
আসামিরা জানায় যে, আটো চুরির উদ্দেশ্য তারা ভিক্টিমকে জুসের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে সেবন করিয়ে তাকে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে ভিক্টিমের অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য তারা প্রায়ই এমন অটোরিকশা চুরি করে বলে পিবিআই এর নিকট স্বীকার করেন।