গত ২৫ মার্চ রাত ০৯:৪৫ ঘটিকায় কেএমপি’র দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বেরপাশা দিঘীর পশ্চিম পাড়স্থ “জাতীয় তরুণ সংঘ” মাঠে কতিপয় কিশোর গ্যাং এর সসদ্যদের মধ্যে সংঘবদ্ধভাবে প্রকাশ্যে এলাকায় সিনিয়র ও জুনিয়রের ক্ষমতার আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির সুত্রপাত হয়। এই মারামারির ঘটনায় হুজাইফা খান (১৭) নামক একজন কিশোর চাপাতির আঘাতে রক্তাক্ত গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় একাধিক চৌকস টিম সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করে আড়ংঘাটা থানা এলাকা থেকে অত্র মামলার মূলহোতা ও এজাহারনামীয় কিশোর অপরাধী ১) মোঃ রিপন হাওলাদার (১৭) কে অদ্য ২৬ মার্চ গ্রেফতার করে।
অত:পর ঘটনার মূলহোতার দেখান মতে ঘটনায় ব্যবহৃত চাপাতি দৌলতপুর থানাধীন পশ্চিম বণিকপাড়া, মহেশ্বরপাশায় অবস্থিত “ইডাস” বিল্ডিং এর ২য় তলার ছাদে অবস্থিত কবুতরের খুপড়ি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ সকালে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহারনামীয় ও সন্দিগ্ধ কিশোর অপরাধী ২) মোঃ নাইম মোল্যা (১৫), পিতা-মোঃ বাবুল মোল্যা, সাং-মহেশ্বরপাশা দিঘীর পশ্চিমপাড়; , থানা-দৌলতপুর; ৩) মোঃ রাতুল (১৫), পিতা-শুকুর আলী, সাং-মহেশ্বরপাশা দিঘীর পশ্চিমপাড়, থানা-দৌলতপুর; ৪) মোঃ তানভির হাসান অভি (১৭), পিতা-জসিম উদ্দিন, সাং-মহেশ্বরপাশা দিঘীর পশ্চিমপাড়; , থানা-দৌলতপুর; ৫) মোঃ রাফিকুল ইসলাম @ রাফি (১৭), পিতা-মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাং-ফুলবাড়িগেট আদর্শপাড়া, থানা-খানজাহান আলী; ৬) মোঃ রায়হান রহমান রিয়ন (১৭), পিতা-মোঃ জাহিদ, সাং-মহেশ্বরপাশা মুন্সিপাড়া, থানা-দৌলতপুর; ৭) মোঃ জাবির শেখ (১৭), পিতা-মোঃ মিন্টু শেখ, সাং-মহেশ্বরপাশা বনিকপাড়া, থানা-দৌলতপুর; ৮। মোঃ সাগর (১৮), পিতা-ডালিম হাওলাদার, সাং-মহেশ্বরপাশা দিঘীর পশ্চিমপাড়, থানা-দৌলতপুর; ৯) কাজী নাহিদ হাসান (২২), পিতা-মোঃ শাহাবুদ্দিন, সাং-পশ্চিম সেনপাড়া তিন রাস্তার মোড়, থানা-দৌলতপুর এবং ১০) সরদার মিনহাজুর রহমান (২৮), পিতা-মৃত: মাকসুদুর রহমান, সাং-মহেশ্বরপাশা দিঘীর পশ্চিমপাড়, থানা-দৌলতপুর, জেলা-খুলনা’গণকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উক্ত কিশোর অপরাধীগণকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করায় কিশোর অপরাধী রিপন হাওলাদার (১৭) ও তানভীর হাসান অভি (১৭)’দ্বয় ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে প্রত্যেকে ঘটনার সাথে নিজেদেরকে জড়িত করে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে, এ সংক্রান্তে দৌলতপুর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অত্র মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম এবং অপর আগামীদের গ্রেফতারের লক্ষে অভিযান অব্যহত আছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সব সময় অবৈধ অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী, জঙ্গী, মাদক ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যুসহ সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় কিশোর গ্যাং কালচারের সাথে জড়িতদের ইতোমধ্যেই গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনা হয়েছে।