শাহাদাত কামাল শাকিল কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা লালমাই উপজেলায় শানিচৌ গ্রামের আবুল বাসারের মেয়ে রেহানা আক্তারের বিরুদ্ধে তার শশুরকে মৃত দেখিয়ে এবং ওয়ারিশ সনদ থেকে শশুরের নাম বাদ তার স্বামীর নামের জমির খারিজ করার অভিযোগ উঠেছে, অভিযোগে জানা যায় রেহানার স্বামী মোঃ আমির হোসেন জীবিত থাকাকালীন সময়ে তার নামে কুমিল্লা শহরের উনাইসারে কয়েকটি জমিন ক্রয় করেন তার মধ্যে কুমির সদর থানার উনাইসার মৌজা বি এস খতিয়ান নং ৭৩০,জেএল নং ১৪৯, ৬৭১নং দাগে ৫ (পাঁচ)শতক জমিন ক্রয় করেন, যাহা আমির হোসেন এর নামে খারিজ করা ছিল, কিন্তু ২০১৯সালে আমির হোসেন মারা যাওয়ার পর ২০২২-২০২৩ সনে রেহানা আক্তার অর্থাৎ আমির হোসেন এর স্ত্রী নিজে ৫নং পেরুল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার শশুর মোঃ গিয়াস উদ্দনকে মৃত দেখিয়ে ও ওয়ারিশ সনদ থেকেতার নাম বাদ দিয়ে একটি নকল ওয়ারিশ সনদ দিয়ে চৌয়ারা ইউনিয়ন ভুমি অফিস থেকে আমির হোসেন এর নামীয় জমিন রেহানা ও তার সন্তানদের নামে খারিজ করে থাকে, কিন্তুু ইসলামী শরীয়া মতে যেহেতু বাবার আগে ছেলে মারা গেছে তাই ছেলের নামীয় জমির চার ভাগার এক বাগ ওয়ারিশ হিসেবে বাবা প্রাপ্য, সেখানে, আমির হোসেনের স্ত্রী রেহেনা আক্তার ওয়ারিশ ঠকিয়ে এমন তার শশুরকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে এবং তথ্য গোপন করে অবৈধ ভাবে খারিজটি করেছেন।
এ ব্যাপারে বর্তমানে চৌয়ারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তৌসিলদার মোঃ নাইমুল ইসলাম এর কাছে জানতে তিনি বলেন আবেদন কারী রেহানা আক্তার আমাদের কাছে যে ওয়ারিশ সনদ দিয়েছে সেটা দিয়ে আমরা খারিজ দিয়েছি কিন্তু এখন দেখছি সে তার শশুর গিয়াস উদ্দিনকে মৃত দেখিয়ে যে ওয়ারিশ সনদ দিয়েছে তা সঠিক নয়, তাই সে আমাদের কাছে তথ্য গোপন করে খারিজটি করেছেন।
এ বিষয়ে রেহানার শশুর গিয়াস উদ্দিন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলে মারা যাওয়ার পর থেকে রেহানা আমার উপর অনেক নির্যাতন করে আসছে গত কিছু দিন আগে আমার ছেলে আমির হোসেন নামে জমি আমাকে না জানিয়ে ১কোটি বিশ লক্ষ টাকা বিক্রি করেছে আমাকে একটি টাকাও দেয়নি এবং আমি শুনেছি আমাকে মৃত বানাইয়া আরেকটি জমি খারিজ করেছে, এমনকি আমি এখন যে টিনের একটি ভাংগা ঘরে থাকি সেটাও তাকে দিয়ে দেওয়ায় জন্য চাপ দিতেছে, তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে আমার আমার নেজ্য অধিকার চাই এবং রেহানার সঠিক বিচার চাই। খারিজের বিষয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলার এসিলেন্ড বলেন তথ্য গোপন করে খারিজ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা ও খারিজ বাতিল করা হবে, তদন্তে সূত্রে আরো জানা যায়, সে (রেহানা) আমির হোসেন এর বড়ভাই তার ভাসুর ও তার আপন ননদ সহ সবার সাথে প্রতারনা করেছে।
গোপন সূত্রে জানা যায় যে আমির মারা যাওয়ার পর তিনি এপর্যন্ত আরো তিনটি বিয়ে করেছেন এবং কারো থেকে ৩০,০০,০০০/ লক্ষ কারো থেকে ১কোটি আবার কারো থেকে কাবিন বাবদ ১কোটি টাকার গাড়ী হাতিয়ে নিয়ে তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন কের দেন, বিষয়ে রেহানার সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তিনি বলতে থাকেন যে তার কর্নফুলি হাউজিং চারটি ফ্ল্যাট, খন্দকারে দোকান, নিউমার্কেট দোকান এয়াছিন মার্কেটে দোকান সহ আরো অনেক সম্পদের বিবরন দিয়ে থাকেন, যা প্রতারনা ছাড়া একজন মহিলার পক্ষে আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন করা সম্ভব নয়, তার এই সম্পদের আয়কর বিবরন সম্পর্কে জানতে চাইলে সে কোন উত্তর দিতে পারেনি তার এই অবৈধ অর্জিত সম্পদের ব্যাপারে কুমিল্লা দূর্নীতি দমন কমিশনে একটি অভিযোগ এর ভিত্তিতে জানতে চাইলে কুমিল্লা অফিসে দুদক পরিচালক বলেন বিষয়টি আমার নজরে এসেছে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্হা নিব।