মোঃ হাচিবুর রহমান,কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কলাবাড়ীয়া ইউনিয়নের আইচ পাড়া ও বেলেডাঙ্গা গ্রামে ৬১ টি বৈদ্যুতিক মিটার স্থাপনে অতিরিক্ত অর্থ হাতানোর বিষয়ে বড়নাল মধুমতি কারিগরি কলজের ইংরেজি প্রভাষক দিপংকর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওই কলেজের সভাপতি মোঃ রাশেদুজ্জামান এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
২০ অক্টোবর ভুক্তভোগীরা গণসাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র ইউএনও ও পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মোঃ বনিয়ার রহমানের কাছে জমা দেন। এর আগে প্রভাষক দিপংকর এর বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে ” কালিয়ায় বৈদ্যুতিক মিটার বাবদ অতিরিক্ত অর্থ হাতানোর অভিযোগ ” শিরোনামে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকাসহ নড়াইলের আমিন টিভি অনলাইনে ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। চলতি মাসের ১৫ অক্টোরা দৈনিক দেশ বর্তমান ও ১৭ অক্টোবর দেনিক সকালের সময় পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে কালিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম বনিয়ার রহমান উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলেন, যেহেতু ভুক্তভোগীরা ইউএন’র কাছে অভিযোগ দিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে ইউএনও আমাদের সহযোগীতা চাইলে আমরা সহযোগীতা করবো। তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা চাইলে আইনগত ব্যবস্থাও নিতে পারেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, লিখিত একটা অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, দীপংকর বিশ্বাস বিদ্যুৎ অফিসের দালালীর স্বার্থে প্রভাবশালীদের হাতে রেখে বিগত সরকারের আমলে ২০১৯ সালে পল্লী বিদ্যুৎ শতভাগ করণের কাজে সম্পৃক্ত হয়ে প্রতি মিটারে সরকারী খরচ ৫৬৫ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও ৫/৬ হাজার টাকার নিচে কাউকে মিটার দেননি বলে অভিযোগ আসে। সহজ সরল গ্রামবাসীকে নানাভাবে হুমকি ও কথার জালে ফেলে এ অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। তবে দিপংকর বিশ্বাস ৬১ জন গ্রাহকের কাছ থেকে গড়ে ৪৫৩৩ টাকা নিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।