নড়াইল জেলার কালিয়া থানার জামরিলডাঙ্গার মোঃ টুকু লস্কার (৫০), পিতা-মৃত হাসেম লস্কর ইট, বালু ও রডের ব্যবসায়ী। তিনি তার বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স, জামরিলডাঙ্গা (লস্কারবাড়ী) সুইচগেট বাজার, কালিয়া, নড়াইলের কাজ শেষে ২০/০২/২০২৪ তারিখ রাত্র ২০.৩০ ঘটিকার সময় নিজ বসতবাড়ীতে অবস্থানকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মোবাইল নং-০১৯৮৪-৫৭৫৭১৫ নাম্বার দিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল নং-০১৭৪৫- ২৯১১৮৪ তে কল করে বলেন যে, তিনি কালিয়া পাটকেলবাড়ি থেকে বলছেন এবং তিনি কিছু ইট বিক্রি করতে চান। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাকে মোবাইল ফোনে বলেন যে, তার ১০ (দশ) হাজার ইট দাদনে ক্রয় করা আছে। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির টাকার প্রয়োজনে দাদনে ক্রয়কৃত ইট বিক্রয় করতে চাচ্ছে। পরবর্তীতে মোঃ টুকু লস্কর বিষয়টি ১। মোঃ আক্তার হোসেন মোল্যা (৩৮), পিতা-মোঃ নজরুল মোল্যা, সাং-পেড়লী ২। কিব্রী বিশ্বাস (৪০), পিতা-আতিয়ার বিশ্বাস, সাং-জামরিলডাঙ্গা উভয় থানা-কালিয়া, জেলা-নড়াইলদ্বয়কে জানালে তারা ঠিক আছে বলে অর্ডার দিতে বলেন এবং ইট তারা রিসিভ করবে বলে জানান। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মোবাইল ফোনে বলেন, আপনার ইট গোলায় নামলে টাকা পাঠাবেন।
তারপর ২১/০২/২০২৪ তারিখ অনুমান সকাল ১০.০৫ ঘটিকার সময় ট্রাকে করে ২ হাজার ইট আসে এবং তার গোলায় ইট নামানোর পরপরই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাকে আবার ফোন করে বলেন তার টাকার প্রয়োজন সেজন্য তার দেওয়া বিকাশ হিসাব নাম্বার ০১৮৭৬-৯৯৮১৫৫ তে টাকা পাঠাতে হবে। তিনি ইট পাওয়ায় সরল বিশ্বাসে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিকাশ হিসাব নাম্বারে ১৭,০০০/- (সতের হাজার) টাকা পাঠায়। পরবর্তীতে ঐদিন অনুমান ১৪.১৫ ঘটিকার সময় পুনঃরায় ট্রাকে করে আবার ২,০০০ (দুই হাজার) ইট গোলাতে আসলে তিনি ইটগুলো রিসিভ করেন এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির দেওয়া বিকাশ হিসাব নাম্বারে ১৬,০০০/- (ষোল হাজার) টাকা পাঠান। ঐদিন বিকাল অনুমান ১৬.০০ ঘটিকার সময় ট্রাকে করে আবার ২,০০০ (দুই হাজার) ইট তার গোলাতে আসে এবং তিনি উক্ত ইট রিসিভ করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির দেওয়া বিকাশ হিসাব নাম্বারে ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা পাঠান।২২/০২/২০২৪ তারিখ দুপুর অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় পুনঃরায় ট্রাকে করে ৪,০০০ (চার হাজার) ইট আসলে তিনি উক্ত ইট রিসিভ করে অজ্ঞতনামা ব্যক্তির দেওয়া বিকাশ হিসাব নাম্বারে ৩৩,০০০/- (তেত্রিশ হাজার) টাকা পাঠিয়ে দেন। মোঃ টুকু লস্কর ফোনে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সাথে দেখা করতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই এখন একটু ঝামেলায় আছে তাই পরে দেখা করবে এবং একসাথে চা খাবে। বিষয়টি তিনি সরলভাবে বিশ্বাস করেন। এভাবে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির দেওয়া বিকাশ হিসাব নাম্বারে সর্বমোট (১৭,০০০+১৬,০০০+ ১৫,০০০+৩৩,০০০) = ৮১,০০০/- (একাশি হাজার) টাকা ১০ হাজার ইট ক্রয় বাবদ বিকাশ হিসাব নাম্বারে প্রেরণ করেন।
পরবর্তীতে ২২/০২/২০২৪ তারিখ রাত্র অনুমান ২০.৩০ ঘটিকার সময় পেড়লী ক্যাম্পের পুলিশ ও পাটকেল বাড়ীর টিএনবি ভাটার মালিক টিকলু চেয়ারম্যান এর প্রতিনিধি রফিকুল সহ ড্রাইভার আব্দুল্লাহ এসে ইটের টাকা দিতে বলেন। তখন তিনি বলেন, ইটের ব্যাপারে যার সাথে কথা হয়েছে তার মোবাইল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। তখন তারা মোঃ টুকু লস্করকে জানায় কার নাম্বারে টাকা পাঠিয়েছেন জানি না, আমাদের ইট আমাদের টাকা দেন, না হলে ইট নিয়ে যাবে। একপর্যায় তারা ৪,০০০ (চার হাজার) ইট নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মোবাইল নাম্বারে কল করলে নাম্বারটি বন্ধ দেখায় এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিকাশ হিসাব নাম্বারে কল করলেও তিনি নাম্বারটি বন্ধ পান। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি প্রতারণা করে মোঃ টুকু লস্করের নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৮১,০০০/- (একাশি হাজার) টাকা গ্রহণ করে। যার কারণে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গত ০২ মে/২০২৪ কালিয়া থানায় প্রতারণার অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আজ ১৫ মে/২০২৪ (বুধবার) রাত ০২ঃ৪০ ঘটিকার সময় কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব খন্দকার শামীম উদ্দিন এর তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) গাজী নূরনবী ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের এসআই(নিঃ) মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামি সনাক্তপূর্বক অভিযান পরিচালনা করে যশোর জেলার অভয়নগর থানার একতারপুর (তালতলা) গ্রামের ভাড়া বাসা হতে মাহাবুর রহমান ঢালী (৫২) নামের ০১ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাহাবুর রহমান ঢালী (৫২) খুলনা জেলার দাকোপ থানার সবুজ পল্লী গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমান ঢালীর ছেলে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নড়াইল জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাঃ মেহেদী হাসান মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে।