মোঃ হাচিবুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়ায় স্বল্প মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে উথলী গ্রামের মৃত আলতু শেখের ছেলে গোলজার শেখ ও পার্শ্ববর্তী চাঁদপুর গ্রামের সাবনামের স্ত্রী রীনা ওরফে রীতা ওরফে সীমা বেগমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২৮ মে (মঙ্গলবার) ভুক্তভোগীদের পক্ষে একই গ্রামের নজরুল শেখের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম বাদী হয়ে কালিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর যাবত গোলজার ও রিতা পরস্পর যোগসাজসে তেল, চাউল সহ অন্যান্য নিত্যপন্য কম মূল্যে বিক্রয় করায় গ্রামের অনেকে তাদের নিকট হতে পন্য ক্রয় করে।
এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ৬ মাস পূর্বে একই গ্রামের মহিদ শেখের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ১১ হাজার নজরুল শেখের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম ৬০ হাজার,মুঞ্জিল শেখের স্ত্রী ছাকিরোন ৩০ হাজার, শিউলী বেগম ও তার মাতা রেহানা বেগম ৩০ হাজার, হাদিস শরীফের স্ত্রী শিরিনা খানম ১০ হাজার, মৃত মুজিবর ফকিরের স্ত্রী শান্তি বেগম ১ লক্ষ ১০ হাজার, মৃত পিরু শেখের ছেলে আকবর শেখের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকাসহ প্রায় শতাধিক নারী পুরুষের নিকট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে রীনা ওরফে রীতা ওরফে সীমা বেগম। মাল চাইলে আজকাল বলে ঘোরাইতে থাকে এবং হুমকি দেয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা। প্রতারকদের বিচার দাবী করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে ৮ নং ওয়ার্ডের (উথলী) কাউন্সিলর এহশানুল হক রানা বলেন, আজ সকালে ৭৮ জন মহিলা সকলে আমাকে বিষয়টি অবগত করে। পরবর্তীতে থানা পুলিশের সাথে কথা বললে ভুক্তভোগীদের একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। তবে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে প্রতারকদের বিচার দাবী করেন তিনি।
অভিযুক্ত রীনা ওরফে রীতা ওরফে সীমা বেগমের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি মূল বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে তিনি সুদে টাকা নিয়েছিলেন। তাদের টাকা তিনি দিয়ে দিয়েছেন এবং কম মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি তিনি করেন না। এ দিকে অভিযুক্ত গোলজার শেখ বলেন, রীনা বেগমের পরিবারের সাথে তার ধর্ম সম্পর্ক রয়েছে এবং রীনা বেগমকে তিনি কম মূল্যে চাউল বিক্রি করতে দেখেছেন। তবে তিনি ওই ব্যবসার সাথে জড়িত নন। এ বিষয়ে কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।