এস এম দেলোয়ার হোসেন
আন্তর্জাতিক নারী দিবস। মা জননী যখন পাহাড়সম দাঁড়াতে সেখান, তখন পরিবারে আর একজন নারী পুরুষের পিছনে হোন শক্তিশালী খুঁটি।
যে পুরুষ, যে জাতি নারীকে সম্মান করেছে, সেই পাহাড়সম দাঁড়িয়েছে , তাঁর আর পিছনে পড়ে যাবার ভয় নেই। ইনশাআল্লাহ !
নারী দিবসের আলোচনা ও সচেতনতার কারণে সমাজে নারী পুরুষের মধ্যে অনেক বৈষম্য দূর হচ্ছে বলা যেতে পারে এবং নারীরা একজন পুরুষের যে অধিকার, সে অধিকার নারীরাও ভোগ করছে এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজ থেকে নারীরাও একজন মানুষ হিসেবে সম্মান ও মর্যাদা পাচ্ছে বলা
যেতে পারে। অপরদিকে,সামগ্রিক ভাবে সমাজের কিছু কিছু পুরুষ কতৃক নারী নির্যাতন চলমান ও নারীদের কে হেয়পন্ন ও অসম্মান করা হচ্ছে। যাহা মোটেই উচিত নয়। এবিষয়ে সমাজকে আরো সচেতনতা হওয়া জরুরি।
তবে, সমাজে কিছু কিছু নারী, বেশী বেশী নারীবাদীতার মানসিক কারণে “নারী অধিকার ” দোহায় দিয়ে না মানছে সমাজের সামাজিক শৃংখলা, নিয়মনীতি এমন-ই ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাহা সমাজের সামাজিক শৃংখলা ব্যাঘাট ঘটছে এবং উল্টো করে পুরুষদের কে অসম্মান করছে।
এমতবস্থায়, যেমনি নারী পুরুষ সমমর্যাদা ভোগ করা অধিকার রয়েছে, তেমনি নারী অধিকার নামে নারীবাদী চিন্তা লালনে সমাজের সামাজিক শৃংখলা ব্যাঘাট ঘটার অধিকার নেই এবং নিজ নিজ ইচ্ছামাফিক শিষ্টাচার বহির্ভূত যার যা ইচ্ছে তা করার কোন নারীর অধিকার হতে পারেনা। নারীবাদী চিন্তার লালনে,নারীরা যেন অধঃপতন না হয় , সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
উপসংহার -নারীদের সম মর্যাদা ও নারী অধিকার দেয়া সমাজের দায়িত্ব এবং অতীব নারীবাদীতাকে বিরোধিতা করাও সমাজের নৈতিক দায়িত্ব বটে।