গোপাল হালদার পটুয়াখালী
মানুষের বাসাবাড়ির দরজা, দেয়াল, সরকারি স্থাপনা, দোকানের সাঁটার, বিদ্যুতের খুঁটি কোনো কিছুই বাদ দেওয়া হয়নি। গলাচিপা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে যেখানে খুশি সেখানেই পোস্টার লাগানো হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি বলে যে কিছু একটা আছে, সেটি পুরান গলাচিপার নির্বাচনী এলাকায় ঢুকলে বোঝার উপায় নেই।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, ভবন, দেয়াল, গাছ, বিদ্যুৎসহ টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তুতে পোস্টার লাগানো নিষেধ। সরকারি স্থাপনাতেও পোস্টার লাগানো নিষেধ। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তোয়াক্কা করছেন না প্রার্থীরা। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারে মিছিল নিষিদ্ধ থাকলেও মানছেন না কেউই। প্রার্থীরা নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মিছিল নিয়ে ঘুরছেন। আবার এই মিছিলের ছবি ও ভিডিও নিজেদের ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের মোটরসাইকেল ও গাড়ি নিয়ে মহড়া করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গলাচিপা শহরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফটক, বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দেয়াল, বিদ্যুতের খুঁটিতে পোস্টার লাগানো রয়েছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহিন শাহ্, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রেজাউল করিম মোল্লা, অ্যাডভোকেট মোঃ রিফাত হাসান সজিব, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোসাঃ হেলেনা বেগম, মোসাঃ তাহমিনা আক্তারের পোস্টার লাগানো। এ ছাড়াও চর বিশ্বাস, চর কাজল, মাটিভাংগা বাজার, কাটাখালী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় লাগানো পোষ্টার দেখা যায়। গলাচিপা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুইজন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে চারজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীসহ মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তারা প্রার্থীদের আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। প্রসঙ্গত, গলাচিপা উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৮৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২২হাজার ৫০ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ৮১৯ জন, হিজরা একজন।