1. admin@naragatirsangbad.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
লোহাগড়ায় নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হরিণাকুন্ডু পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯৫ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত।  খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে ঢাকাস্থ ইরানি রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশির দলিত জনগোষ্ঠীর ঝরেপড়া ১৪০ শিক্ষার্থী পেল শিক্ষা উপকরণ  লোহাগড়ায় সর্বদলীয় নেতা মেম্বার ধলু, যে দল ক্ষমতায় যায় সেই দলই তার  লোহাগড়ায় পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে ইয়াবাসহ পুরুষ ও নারী ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।  গোপালগঞ্জে জেলা বিএনপির নতুন আরো একটি কার্যালয়ে উদ্ভোধন রামপালে স্বপযাত্রার শিশুদের উদ্ভাবনী উৎসব মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের বার্ষিক কমিটি গঠন সভাপতি শহিদুল, সম্পাদক শামীম। বাগেরহাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির নামে লটারি পদ্ধতি বাতিলের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

ঈমান কি ও এর ভিত্তি কি?

নড়াগাতীর সংবাদ ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪
  • ২১৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

 

ঈমান কি ও এর ভিত্তি কি?

ইমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস। ইসলামী শরিয়তের যাবতীয় বিধিবিধান অন্তরে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা এবং সে অনুযায়ী আমল করাকে ইমান বলে। ঈমানের ছয়টি স্তম্ভ (six pillars of Imaan)। অন্যদিকে এগুলোকে ইসলামী ‘আক্বীদাও বলা হয়ে থাকে। ‘আক্বীদা অর্থ অন্তরে গভীর বিশ্বাস। আক্বিদার আলোচনা পরে আসছে।

ঈমানের ৬টি স্তম্ভ বা ভিত্তিঃ

(১) আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস (২) ফিরিশতাদের প্রতি বিশ্বাস (৩) আল্লাহর কিতাবে বিশ্বাস (৪) রসূলদের প্রতি বিশ্বাস (৫) আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস (৬) তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাস

১। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসঃ-

আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদের তিনটি অংশের প্রতিই বিশ্বাস স্থাপন করা। যথাঃ

ক) আল্লাহ তা’আলার কাজেরক্ষেত্রে তাঁর একত্ববাদ। একজন মুসলিম বিশ্বাস করবে যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা’আলা হলেন সকল কিছুর মালিক, পরিচালনাকারী, সৃষ্টিকর্তা ও রিযিকদাতা।

খ) বান্দাদের কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে তাঁর একত্ববাদ। একজন মুসলিম বিশ্বাস করবে যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা’আলা হলেন একচ্ছত্র মা’বুদ তথা ইবাদতের উপযুক্ত এবং বান্দা সকল প্রকার ইবাদত তাঁকে উদ্দেশ্য করেই করবে।

গ) আল্লাহর নামসমূহ ও গুণাবলীর ক্ষেত্রে আল্লাহর একত্ববাদ। আমরা স্বীকৃতি দেবো যে, আল্লাহ হলেন দয়াময়, পরম দয়ালু; তাই আমরা তাঁর নিকট রহমত কামনা করবো। তিনি হলেন রিযিকদাতা, পরম শক্তির অধিকারী; আমরা তাঁর নিকট রিযিকের জন্য আবেদন করবো। তিনি হলেন রোগ নিরাময়কারী। সুতরাং আমরা তাঁর নিকট রোগ থেকে মুক্তির জন্য আবেদন করবো। আল্লাহ হলেন ক্ষমাশীল, পরম ক্ষমাপরায়ণ; তাই আমরা তাঁর নিকট ক্ষমা। প্রার্থণা করবো। তিনি হলেন মার্জনাকারী ও দানশীল; সেজন্য আমরা তাঁর নিকটই মাফ চাইবো। ইত্যাদি।

২। ফিরিশতাদের প্রতি বিশ্বাসঃ-

মুসলিম বিশ্বাস স্থাপন করবে যে, আল্লাহ তা’আলার অনেক ফিরিশতা রয়েছে, যারা রাতদিন অক্লান্তভাবে তাঁর দাসত্ব করেন; আর তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক আছেন যারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

কয়েকজন ফিরিশতার নাম ও তাদের দায়িত্বঃ

ফিরিশতাদের নামঃ-

জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম), মিকাঈল (আলাইহিস সালাম), মালাকুল-মাউত বা আজরাঈল (আলাইহিস সালাম), ঈসরাফিল (আলাইহিস সালাম), মুনকার এবং নাকির (আলাইহিস সালাম)।

আল্লাহ তাদেরকে যে দায়িত্ব দিয়েছেনঃ-

আল্লাহর বানী নাবী ও রসূলদের কাছে পৌঁছে দিতেন। আল্লহর আদেশে প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করেন। আল্লাহর আদেশে সকল প্রাণীর মৃত্যু ঘটিয়ে থাকেন। আল্লাহর আদেশে একদিন সিংগায় ফুঁ- দিবেন তখন কিয়ামত সংঘটিত হবে। এবং দুজন ফিরিশতা মানুষের মৃত্যুর পর কবরে প্রশ্ন করবেন।

৩। আল্লাহর কিতাবে বিশ্বাসঃ-

রসূলদের উপর নাযিলকৃত আল্লাহ তা’আলার কিতাবসমূহের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। যেমন, তাওরাত-মূসা (আঃ), ইঞ্জিল-ঈসা (আঃ); যাবুর-দাউদ (আঃ) এবং আল কুরআন, যা মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে। আর আল কুরআনুল কারীম হল সর্বশেষ কিতাব, যার মাধ্যমে কিতাব অবতীর্ণের ধারার পরিসমাপ্তি ঘটেছে এবং যা পূর্ববর্তী সকল কিতাবের বিধানকে বাতিল করে দিয়েছেন; আর তার (কুরআনের) মধ্যে যা এসেছে তা এবং রসুল (সাঃ) এর ব্যাখ্যা ব্যতীত অন্য কোন কিতাবের বিধান অনুযায়ী আল্লাহ তা’আলার ইবাদত করা বৈধ নয়।

৪। রসূলদের প্রতি বিশ্বাসঃ-

নবীরসূলগণ মানুষকে সুসংবাদ দেন, সতর্ক করেন এবং তাদের প্রতিপালকের ইবাদত করার আবশ্যকতার কথা মানুষের নিকট প্রচার করেন। সর্বশেষ রসূল হলেন মুহাম্মাদ (সাঃ) যার মাধ্যমে নবুওয়ত ও রিসালাতের ধারার সমাপ্তি ঘটে এবং তিনি তাদের মধ্যে সর্বশেষ, তাঁর পরে আর কোন নবী আসবেননা; তাঁকে সকল মানুষ ও জিনের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে; আর রসূল (সাঃ) যে শরী’আত প্রবর্তন করেছেন, সে অনুযায়ী আল্লাহ তা’আলার ইবাদত না হলে তা বৈধ হবে না।

৫। আখিরাতের প্রতি বিশ্বাসঃ-

মানুষের এই জীবনের পরিসমাপ্তির সূচনা হয় কতগুলো ভূমিকা বা উপাদানের মাধ্যমে; আর তা হল তার মৃত্যু ও পরবর্তী জীবনে স্থানান্তরের মাধ্যমে আর কবরের পরীক্ষা, তার নিয়ামত ও শাস্তির মাধ্যমে; আর কিয়ামতের ছোট ও বড় শর্ত বা নিদর্শনের মাধ্যমে; অতঃপর পুনরুত্থান বা পুনরায় জীবিত করা, হাশর (সমাবেশ), হিসাব, প্রতিদান ও পুলসিরাত এবং সব শেষে জান্নাত ও জাহান্নামের মাধ্যমে।

তাক্বদীরে বিশ্বাস করাঃ-

আমাদের জীবনে যা কিছু ঘটছে তা মহান আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে ঘটছে তাতে বিশ্বাস স্থাপন করা। (এই বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক না করা, বাড়াবাড়ি না করাই উত্তম, তবে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা উচিত)।

প্রত্যেক মুসলিমদের জন্য ওয়াজিব হল, সে এই আক্বীদা পোষণ করবে যে, ভাল ও মন্দ সমস্ত কিছুই আল্লাহ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ও নির্ধারিত। আর উহা তাঁর জ্ঞানে ও ইচ্ছাতে আছে। কিন্তু ভাল ও মন্দ করার সামর্থ বান্দার ইচ্ছা অনুসারেই হয়। আর তার উপর ওয়াজিব হল আদেশ ও নিষেধ পালনে তৎপর হওয়া। তার জন্য এটা জায়িয হবে না কোন পাপ কর্ম করে এ কথা বলা যে, আল্লাহ আমার জন্য এই পাপকে নির্দিষ্ট করেছিলেন তাই করেছি। নাউযুবিল্লাহ!

আরকানুল ঈমানঃ-

এর original arabic version টা হচ্ছে এরকমঃ

আল ঈমা-নু বিল্লাহি, ওয়া মালায়িকাতিহি, ওয়া কুতুবিহি, ওয়া রুসুলিহি, ওয়াল ইয়াউমিল আ-খিরি, ওয়াল ঈমা-নু বিল কুদরি খইরিহি ওয়া শাররিহি।

অর্থঃ ঈমান আল্লাহর উপর, তাঁর ফিরিশতাগণের উপর, তাঁর কিতাবগুলোর উপর, তাঁর রসূলগণের উপর, শেষ দিনের (আ-খিরাতের) উপর এবং ঈমান হৃদরের অর্থাৎ ভাগ্যের ভালো ও মন্দের উপর। [সহীহ মুসলিমের হাদীস, উমার বিন আল-খাত্তাব (রাঃ) বর্ণিত।

উপসংহারঃ এই হল একজন মুসলিমের আক্বীদা বা বিশ্বাস, যার উপর ভিত্তি করে তার নিজের জীবনকে গড়ে তোলা এবং সে ব্যাপারে জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে বেঁচে থাকা অত্যাবশ্যক। অতঃপর এই ঈমান বা বিশ্বাস আরও কতগুলো আবশ্যকীয় বিষয়কে অনুসরণ করে;।

যেমনঃ

১। আল্লাহ তা’আলার ভালোবাসা; ২। তাঁর প্রতি একনিষ্ঠতা; তাঁর নিকট প্রত্যাশা করা; ৩। তাঁকে ভয় করা; তার উপর ধৈর্যধারণ করা; ৪। আক্বীদা (বিশ্বাস) পরিপন্থি কাজসমূহ এবং ঈমন নষ্টকারী বিষয়সমূহ থেকে সতর্ক থাকা; ৫। আল্লাহ তা’আলার সাথে কাউকে শরীক না করা; ৬। মাজার-পীর-ফকির ও জ্যেতিষীর কর্মকাণ্ডে বিশ্বাস স্থাপন না করা; ৭। কুফরী না করা; মুনাফিকী না করা; ৮। আল্লাহ তা’আলা, তাঁর রসূল, তাঁর দ্বীন ও তিনি যে শারী’আত প্রবর্তন করেছেন, তার সাথে ঠাট্টা-বিদ্রূপ না করা; ৯। যে কোন প্রকারের ইবাদত আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কারও উদ্দেশ্যে না করা; ১০। আল্লাহ ব্যতীত অন্যের বিধান আল্লাহ তা’আলার বিধানের সমান বা তার চেয়ে উত্তম বলে। বিশ্বাস না করা;।

সুতরাং, আমাদের (মু’মিনের) আবশ্যকীয় কর্তব্য হল, এই ধরনের ভয়াবহ শিরকে নিপতিত হওয়া থেকে সতর্ক থাকা।

Facebook Comments Box

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ নড়াগাতীর সংবাদ।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park